বিএনপি গুম-নির্যাতনের কাল্পনিক তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি গুম-নির্যাতনের কাল্পনিক তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তথাকথিত গুম, খুন ও মামলার সংখ্যা নিয়ে বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে করুণা ও রাজনৈতিক সমর্থন লাভের আশায় বিএনপির নেতারা ধারাবাহিকভাবে সরকারবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
পুলিশের হেফাজতে ৮ এপ্রিল ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মো. আকরাম হোসেনের মৃত্যু হয় বলে তাঁর পরিবার ও বিএনপি অভিযোগ তুলেছে। গতকাল শুক্রবার যুবদলের এই নেতার কবর জিয়ারত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সেখানে এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, পুলিশের হেফাজতে আকরামের মতো মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। আন্দোলন চলাকালে ৩০ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির বিরুদ্ধে প্রায় ৬০ লাখ মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ৭০০ থেকে ৮০০ জন নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবরের পর কয়েক দিনের মধ্যে ২৭ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যকে ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক’ আখ্যায়িত করে এর নিন্দা জানান। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপির সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর তারা এখন মনগড়া তথ্য দিয়ে মিথ্যাচার করছে।
বিএনপির মহাসচিবকে ঢালাওভাবে অপপ্রচার না চালিয়ে রাজনৈতিক কারণে নিপীড়ন-নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটলে সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ ভুক্তভোগীদের সম্পূর্ণ তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।
ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যুবরণকারী যুবদল নেতা ‘চিহ্নিত মাদকসেবী’ বলে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। কোনো প্রকার আইনের ব্যত্যয় ঘটলে সরকার গুরুত্বসহকারে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যুবরণকারী যুবদল নেতার মৃত্যুকে ‘স্বাভাবিক’ দাবি করে বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসায়ীর মতো একজন অপরাধীর স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে ‘বিরোধী দলের ওপর সরকারের নির্যাতনের’ অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালিয়ে মির্জা ফখরুল রাজনৈতিকভাবে ফায়দা নেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।