অনুসন্ধান সম্পর্কে তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে জানালেন প্রধান তথ্য কমিশনার

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধান তথ্য কমিশনার আবদুল মালেক। আজ সোমবার সচিবালয়েছবি: বাসস

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দৈনিক দেশ রূপান্তর–এর শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনা অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে অবহিত করেছেন প্রধান তথ্য কমিশনার আবদুল মালেক।

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীকে তাঁর দপ্তরে এ অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পর্কে জানান প্রধান তথ্য কমিশনার। সাংবাদিককে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনাটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ায় তথ্য কমিশনকে ধন্যবাদ দেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

প্রধান তথ্য কমিশনারের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার সংবাদমাধ্যম ও পেশাদার সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় যেকোনো পেশাদার সাংবাদিকের অনাকাঙ্ক্ষিত হয়রানির বিপক্ষে এবং পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরও বলেন, জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার আছে। সরকারি কাজের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করেছে। আইনের আওতায় জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন

তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক অনুসন্ধান প্রতিবেদন ইতিমধ্যে তথ্য কমিশনে দাখিল করেছেন বলে প্রতিমন্ত্রীকে জানান প্রধান তথ্য কমিশনার। আগামীকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। প্রধান তথ্য কমিশনার জানান, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পক্ষকে তথ্য কমিশনে সমন করা হবে।
তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ও তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

শফিউজ্জামান রানাকে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনায় ৭ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘তথ্য চেয়ে আবেদন করে দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক জেলে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী ঘটনাটি তদন্তে তথ্য কমিশনার শহীদুল আলমকে দায়িত্ব দেয় কমিশন।

এরপর তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ১০ মার্চ শেরপুর জেলা কারাগারে শফিউজ্জামান রানার সঙ্গে কথা বলেন। এদিন দুপুরে তিনি শেরপুরের নকলায় সাংবাদিক রানার বাসায় গিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন। এরপর সেদিনই নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিনের সঙ্গে রানার করা আবেদনের বিষয়ে কথা বলেন তথ্য কমিশনার। ইউএনওর কাছ থেকে সাজার নথিও দেখেন তিনি।