উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। চট্টগ্রাম, ২৩ এপ্রিলছবি: বিজ্ঞপ্তি

‘সরকারঘেঁষা’ রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেবে না। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের চেরাগি পাহাড় এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের মহাসচিব স উ ম আবদুস সামাদ এ ঘোষণা দেন।

দলটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিনসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোমবাতি প্রতীকে অংশ নিয়েছিল। এবার দলটি উপজেলা নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিল।

সংবাদ সম্মেলনে এর কারণ ব্যাখ্যা করেন ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব আবদুস সামাদ। তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগেও তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কমিশনের এই ধারাবাহিক ব্যর্থতায় সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাওয়া এবং ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এসব যৌক্তিক বিষয়সহ নির্বাচন-সংক্রান্ত আরও সুনির্দিষ্ট কিছু কারণে ইসলামী ফ্রন্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানতের পরিমাণ ১০ গুণ বৃদ্ধি করে ১ লাখ টাকা ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ১৫ গুণ বৃদ্ধি করে ৭৫ হাজার টাকা করার সমালোচনা করেছে ইসলামী ফ্রন্ট। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসহ দেশের বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজকে অন্ধকারে রেখে কমিশনের এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ষড়যন্ত্রমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যেখানে জাতীয় নির্বাচনের সংসদ সদস্য প্রার্থীর জামানত ২০ হাজার টাকা, সেখানে স্থানীয় নির্বাচনে ১০ গুণ বৃদ্ধি করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য তৈয়ব আলী, আবু নাছের তালুকদার, এম সোলায়মান ফরিদ, রফিকুল ইসলাম, পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ, যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল করিম তালুকদার, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, যুবসেনার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এমরানুল ইসলাম প্রমুখ।