‘গণতান্ত্রিক নারী মঞ্চ’র আত্মপ্রকাশ

গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি দলের নারী সংগঠন ও নারী প্রতিনিধিরা সংবাদ সম্মেলন করে গণতান্ত্রিক নারী মঞ্চ নামে এ জোট গঠনের ঘোষণা দেন। রাজধানীর পুরানা পল্টনে
ছবি: সংগৃহীত

দেশে গণতন্ত্র ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ‘গণতান্ত্রিক নারী মঞ্চ’ নামে নতুন জোট আত্মপ্রকাশ করেছে। শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে গণতান্ত্রিক নারী মঞ্চের সমন্বয়ক হিসেবে এই ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী।

নতুন এই জোটে থাকা ছয় সংগঠন হলো জাতীয় সমাজতান্ত্রিক নারী জোট, নাগরিক নারী ঐক্য, শ্রমজীবী নারী মৈত্রী, নারী সংহতি, ভাসানী নারী মুক্তি পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার (নারী) আন্দোলন।

সংবাদ সম্মেলনে বহ্নিশিখা জামালী বলেন, দেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেড় দশক ধরে একটি অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ সরকার দেশের মানুষের ঘাড়ে চেপে বসে আছে। তাদের দুঃশাসনে দেশ চরম বিপদগ্রস্ত। জনগণের অবস্থা ত্রাহি ত্রাহি। এ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিরোধী দলগুলো আন্দোলন শুরু করেছে। দেশবাসীর এ আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা ছয়টি দলের নারী সংগঠন ও নারী প্রতিনিধিরা এই মঞ্চ গঠন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ১২ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র ও সমাজজীবনের সব ক্ষেত্রে নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক ও শ্রেণিগত শোষণ–বৈষম্য অবসান; জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন এক–তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি; সম্পত্তিতে নারীর সম–অধিকার নিশ্চিত; নারীর অধিকার ও মর্যাদাবিরোধী সব ধরনের আইন বিলোপ; আদিবাসী নারীদের অধিকার, সম্মান ও সুরক্ষা নিশ্চিত; সাইবার নিরাপত্তাসহ সব কালো আইন বাতিল ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা।      

নাগরিক নারী ঐক্যের আহ্বায়ক শাহনাজ রানুর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক নারী ঐক্যের সদস্যসচিব ফেরদৌসী আক্তার, সমাজতান্ত্রিক নারী জোটের সহসভাপতি ফারজানা দিবা, নারী সংহতির সমাজকল্যাণ সম্পাদক পপি রানি, ভাসানী নারী মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক সোনিয়া আকতার, রাষ্ট্র সংস্কার (নারী) আন্দোলনের সমন্বয়ক নাসিমা এ রহমান প্রমুখ।