দেখতে দেখতে ১৫ বছর, তারেক আসবে কোন বছর, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

সাভারে আওয়ামী লীগের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
ছবি: মাইদুল ইসলাম

কোথা থেকে বিএনপির এত টাকা আসে, এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোন ব্যবসায়ী, কোন শিল্পপতি বিএনপিকে কত টাকা দিয়েছে, সব খবর আমরা জানি। সময়মতো জবাব দিতে হবে। সময় আসছে, কোন শিল্পপতি, কোন ব্যবসায়ী টাকা দিয়ে ওদের পিকনিক করাচ্ছে, ওদের দিয়ে, খিচুড়ি পার্টি।’

আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সাভারের রেডিও কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে আওয়ামী লীগের জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ‘বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদ’-এ সমাবেশের আয়োজন করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের যখন সাভারে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন ঢাকায় বিএনপির বহুল আলোচিত সমাবেশ শেষ হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী দলের সমাবেশ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১০ তারিখে নাকি সব উড়ে যাবে। বিএনপি ময়ূর সিংহাসন পেয়ে যাবে। হায়রে ক্ষমতা। ১০ তারিখ তো চলে গেল, দিন গড়িয়ে সূর্যাস্ত, সন্ধ্যা হয়ে গেল, কোথায় ময়ূর সিংহাসন? বেগম জিয়া যেখানে ছিলেন, সেখানেই আছেন।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এয়ারপোর্ট নাকি প্রস্তুত। তারেক রহমান আসবে। রাজনীতি করবে না, এই মুচলেকা দিয়ে রাতের আঁধারে বিদেশ চলে যায় তারেক রহমান। আর আসেনি।’

বিএনপির একটি স্লোগানের অনুকরণে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখতে দেখতে ১৫ বছর, তারেক আসবে কোন বছর?’

‘খেলা হবে’ এই স্লোগান নিয়ে আলোচনা–সমালোচনার মধ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই স্লোগান জনগণ পছন্দ করেছে। তাই কে কী মনে করল, তাতে কিছু যায় আসে না। তিনি এই স্লোগান দিয়ে যাবেন। নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, খেলা হবে রাজনৈতিক অঙ্গণে, প্রস্তুত হয়ে যান। এ সময় নেতা–কর্মীরাও খেলা হবে স্লোগান দিতে থাকেন।

রেডিও কলোনি মাঠে পশ্চিমমুখী সভামঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সাভার, আশুলিয়া ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসে ও মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন নেতা–কর্মীরা। অনেক ঘোরাঘুরি করছিলেন মাঠের বাইরে। বেলা দুইটার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জনসভার কার্যক্রম শুরু হয়। সমাবেশস্থলের উত্তর পাশ, মধ্যখান ও পশ্চিম পাশে কিছু জায়গা ছিল ফাঁকা। অন্যদিকে মঞ্চ ছিল নেতা–কর্মীতে ঠাসা।