ইউরেনিয়াম কী জিনিস, তা–ই জানেন না ওবায়দুল কাদের: মির্জা ফখরুল
বিএনপির নেতাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার জবাব দিতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। আওয়ামী লীগের মধ্যে যে কয়জন একটু পড়াশোনা জানা মানুষ, তাঁদের মধ্যে তিনি একজন। আমরা তা–ই জানতাম। তাঁর যে করুণ অবস্থা হয়েছে, তা জানতাম না। তিনি ইউরেনিয়াম কী জিনিস, তা–ই জানেন না। খনিজ ইউরেনিয়াম, এর জন্য তো বিশেষ কোনো জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও রোহিঙ্গা সংকট : শহীদ আবরার ফাহাদের প্রেরণা’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে গণ অধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া)।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার এক জুনিয়র বন্ধু এই তথ্য জানিয়ে আমাকে বলেছেন যে ওবায়দুল কাদের এ ধরনের কথা বলেছেন। আপনি এর প্রতিবাদ করতে যাবেন না। কেন, জানতে চাইলে বললেন, এটা তো বিনোদনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা আমাদের জন্য এন্টারটেইনমেন্ট। আমাদের জীবন তো দুর্বিষহ, এইটুকু এন্টারটেইনমেন্ট থেকে আমাদের বঞ্চিত করবেন না।’
এর আগে ওবায়দুল কাদের কয়েকটি উল্টাপাল্টা কথা বলেছেন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কিছুদিন আগে বলেছেন, তলেতলে...হয়েছে! এটাতে বোধ হয় তাঁর মনিব একটু ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ওই কারণে তিনি তার চেয়েও বেশি কথা বলতে চাচ্ছেন। এটাই হয় সাধারণত এ ধরনের দলগুলোতে! সরকারের পক্ষে তোষামোদি এমন পর্যায়ে চলে যায়, যা হাস্যরসে পরিণত হয়।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেন। অথচ আওয়ামী লীগই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করেছে। দেশকে লুটেরাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। এরা বর্গি—আসবে, লুট করবে, চলে যাবে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতু করেছেন ভালো কথা। ১০ হাজার কোটিতেই হয়ে যেতে। সেটা ৪০ হাজার কোটিতে করেছেন। রেললাইন করেছেন ভালো কথা। কত টাকা বাড়িয়ে করেছেন, সেটা দেখার বিষয়। এগুলো বললে তাঁদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। আবোলতাবোল বলতে শুরু করেন।’
সরকারের বিরুদ্ধে এবার মানুষ জেগে উঠেছে, এমন দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, যাঁরা দেশকে ভালোবাসেন, তাঁরা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েন। সরকারবিরোধী আন্দোলনে যেসব দল রয়েছে, সেসব দলের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা এমন কাজ করবেন না, যাতে ঐক্যের ক্ষতি হয়।’
গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি রেজা কিবরিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, গণ অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব মারুফ হাসান, যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রহমান প্রমুখ।