‘এটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং, ইনফরমেশন গ্যাপ’: ছাত্রদলের প্রার্থী আবিদের কেন্দ্রে ঢোকা নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা

শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে স্থাপিত ভোট কেন্দ্রে জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা যে অংশে ভোট দিচ্ছেন, সেখানে ঢোকেন আবিদুল ইসলাম খান। আজ মঙ্গলবার সকালেছবি: প্রথম আলো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মোস্তাক গাউসুল হক আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকালবেলা আমাদের প্রটোকল ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল প্রার্থীরা ঢুকতে পারবেন না। শুধু যে যে কেন্দ্রে ভোটার...সে হিসেবে ওটা আমি...করেছি, আমি বলেছি...ইনফ্যাক্ট সত্যি কথা বলতে কি, টু বি ভেরি ফ্র্যাঙ্ক, আমি শুনে গিয়েছি, গিয়ে ওকে (আবিদুল ইসলাম খান) পাইনি আমি।’

আজ মঙ্গলবার সকালে এই ভোটকেন্দ্রে ঢুকেছিলেন ছাত্রদল প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মোস্তাক গাউসুল হক সকালে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই।’ তিনি বলেন, তিনি জহুরুল হকের কেন্দ্রে ছিলেন। বিষয়টি জানেন না, খোঁজ নিয়ে দেখছেন।

উল্লেখ্য, ডাকসু ও হল সংসদের আচরণবিধিতে প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশে কোনো বাধা নেই। এ নিয়ে এক ধরনের ভুল-বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়।

নির্বাচনী আচরণবিধির ১২ (খ) ধারায় বলা হয়, নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রার্থী, পোলিং এজেন্ট, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক অনুমোদিত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। মানে হলো প্রার্থী ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন।

এ জন্য প্রথম আলো আবারও কথা বলেছে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মোস্তাক গাউসুল হকের সঙ্গে। তিনি জানান, ডাকসুর প্রার্থীরা যে যেই হলে সংযুক্ত, সেই হলের কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন। এ ছাড়া অন্য কোনো হলে প্রার্থীরা যেতে পারবেন না। এ ধরনের একটা নির্দেশনা তাঁদের দেওয়া ছিল।

কাজী মোস্তাক গাউসুল হক বলেন, ‘আমাদের ওপর প্রটোকল ঠিক করে দেওয়া ছিল যে প্রার্থী অন্য কেন্দ্রে যেতে পারবেন না, মানে নিজের ভোটকেন্দ্র ছাড়া। দুপুরে সেটা কারেকশন করে বলা হয়েছে, এখন নতুন প্রার্থীরা যেতে পারবেন। তখন আমরা প্রার্থীদের যেতে দিয়েছি। ফলে এটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং বলতে পারেন, ইনফরমেশন গ্যাপ বলতে পারেন, আমাদের দিক থেকে ঘটনা এটাই ঘটেছে। এর বেশি কিছু না। যখন থেকে আমাদের কারেক্টেড ইনফরমেশনটা পাঠানো হয়েছে যে না, আপনারা ঢুকতে দেবেন। তখন আমরা করেছি, সব জায়গাতে তাই করেছি।’

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব কমিউনিকেশন গ্যাপ বলেন বা ইনফরমেশন গ্যাপ, যেটার জন্য আমরা এটা যখনই জানতে পেরেছি, আমরা কারেকশন করেছি।’

এদিকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে আজ সকালে আবিদুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন। যদিও দুপুরে কাজী মোস্তাক গাউসুল হক প্রথম আলোকে জানান, আবিদুল ইসলাম খান তাঁর সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ ছাড়াই ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন।

আরও পড়ুন