১৯৭৫ সালে মানবাধিকার কোথায় ছিল, প্রশ্ন যুবলীগ চেয়ারম্যানের

১৫ মার্চ আরজু মণি সেরনিয়াবাতের জন্মদিন। এ উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ ফজলে শামস পরশ
ছবি: সংগৃহীত

আজকে যাঁরা মানবাধিকারের কথা বলেন, তাঁরা ১৯৭৫ সালে কোথায় ছিলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেন, ‘অনেকে এখন মানবাধিকারের কথা বলে মুখে ফেনা তোলেন। পঁচাত্তরে আমাদের কোনো অধিকার ছিল না। নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে আমার মা–বাবাসহ অন্যদের।’

শেখ ফজলুল হক মণির সহধর্মিণী আরজু মণি সেরনিয়াবাতের ৭৭তম জন্মদিন আজ ১৫ মার্চ। এ উপলক্ষে আজ বনানী কবরস্থানে মাসহ ১৫ আগস্টে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে যুবলীগ চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ভাগ্যক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বেঁচে যাওয়ায় ঘাতকদের বিচার হয়েছে বলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান। শেখ পরশ তাঁর মা আরজু মণির কথা স্মরণ করে আবেগতাড়িত হন। তিনি বলেন, ‘আমার বয়সী অনেকেরই মা আছে। তাঁরা মা বলে ডাকেন, মায়ে সেবা করার সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু ঘাতকের কারণে আমরা তো মায়ের সেবা করার সুযোগ পাইনি।’ তিনি আরও বলেন, শিশুকালে মা রাতে যে গান শুনিয়ে ঘুম পাড়াতেন, সেটাও ছিল মানবতার গান। মায়ের সেই নির্দেশনা নিয়েই পথ চলছেন বলে জানান।

এ সময় যুবলীগের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাইনুল হাসান খান, রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, নবী নেওয়াজ, এনামুল হক খান, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, জসিম মাতুব্বর, সুব্রত পাল, মুহাম্মদ বদিউল আলম, শেখ ফজলে নাঈম, রফিকুল আলম জোয়ার্দার, হেলাল উদ্দিন, সোহেল পারভেজ, মশিউর রহমান, জাকির হোসেন, ইসমাইল হোসেন, মাইন উদ্দিন, এইচ এম রেজাউল করিম, জয়দেব নন্দী, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।