এলপিজি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জামায়াত সেক্রেটারির

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারছবি: সংগৃহীত

তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বাড়ানোয় উদ্বেগ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে দরিদ্র জনগণের জীবনধারণ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সোমবার এক বিবৃতিতে মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এলপিজি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি দরিদ্র জনগণের ওপর ‘বোঝার ওপর শাকের আঁটি’ চাপিয়ে দেওয়ার শামিল। এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সরকারের অবশ্যই দরিদ্র জনগণের স্বার্থের কথা বিবেচনা করা উচিত ছিল। সরকারের এ অন্যায় ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের ফলে দরিদ্র জনগণের ভোগান্তি ও দুঃখকষ্ট আরও বাড়বে।

গণ-আন্দোলনে ভূমিকা রাখা ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের প্রসঙ্গে

পৃথক বিবৃতিতে জুলাই ২০২৪-এ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা কর্মসূচি পালন করেন। তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি ও নিজস্ব মতামত তুলে ধরে প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত প্রবাসীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ব্যাপক মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। তাঁরা একপর্যায়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য রেমিট্যান্স বন্ধের কর্মসূচি পালন করেন। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনরত অনেক প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করে সাজা দেওয়া হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্যান্য দেশে আওয়ামী লীগের দোসররা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের তালিকা করে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকে এবং তাঁদের অনেককে গ্রেপ্তার করার পর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

গোলাম পরওয়ার বলেন, স্বৈরাচারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েক শ প্রবাসী মুক্ত হয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসতে সক্ষম হন। এসব প্রবাসী অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁদের আন্দোলন দেশে-বিদেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে শক্তিশালী করে। তাঁরা যেহেতু আন্দোলনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাই তাঁদের অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।