বালি স্মারকে গুরুত্বের শীর্ষে বাংলাদেশের প্রস্তাব

এশিয়া মিডিয়া সামিটে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
ছবি: তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো

সদ্য সমাপ্ত ১৮তম এশিয়া মিডিয়া সামিটের ঘোষণাপত্র ‘বালি সমঝোতা স্মারকে’ বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ উত্থাপিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধির প্রস্তাব গুরুত্ব পেয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ২৩-২৫ মে এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভেলপমেন্ট (এআইবিডি) আয়োজিত এ সম্মেলনে এশীয় প্রশান্ত ৪০টি দেশ ও অঞ্চলগুলোর পাঁচ শতাধিক প্রতিনিধি যোগ দেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এআইবিডির সদস্যদেশগুলোর নেতারা গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় স্বাক্ষরিত ‘বালি সমঝোতা স্মারকে’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল, বিভ্রান্তিকর এবং অসত্য তথ্যের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নানা উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন।

এ সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে আমাদের জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তন এসেছে সমাজে, বিশ্বে, প্রত্যেক মানুষের জীবনে।’ বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রসার জনজীবনে অনেক পরিবর্তন এনেছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীন, স্বচ্ছ এবং দায়িত্বশীল গণমাধ্যম যেমন গণতন্ত্রের বিকাশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়ক, তেমনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তথ্যের যথার্থতা এবং সততার মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখা একান্ত প্রয়োজন। এই মাধ্যমে ভুল বা অসত্য তথ্য মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে ব্যক্তি এবং জনজীবনকে বিপর্যস্ত করতে পারে, দেশে দেশে এর বহু উদাহরণ রয়েছে।’

‘এই বিপর্যয় রোধ করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের সচেতন থাকতে হবে এবং ভুল তথ্যের জন্য সেই মাধ্যমের মালিক ও অংশীজনদের দায়িত্বশীলতাও নিশ্চিত করতে হবে’ বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের প্রস্তাব প্রতিধ্বনিত হয়েছে সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে। তথ্যের যথার্থতা, স্বচ্ছতা এবং সততার মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দায়িত্বশীল ব্যবহারে নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করার কথা রয়েছে ‘বালি সমঝোতা স্মারকে’। একই সঙ্গে ভুল, বিভ্রান্তিকর এবং অসত্য তথ্যের প্রচার রোধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মালিক এবং অংশীজনদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়েও এআইবিডি সদস্যদের ঐকমত্যের কথা স্মারকে বর্ণিত হয়েছে।