জনগণের সম্পদ বিদেশিদের দেওয়ার গোপন ও প্রকাশ্য তৎপরতা চালাচ্ছেন সরকারের উপদেষ্টারা: আনু মুহাম্মদ
সরকারের উপদেষ্টারা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। কিন্তু তাঁরা ঠিক আগের সরকারের মতো কথা বলছেন। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার তৎপরতাও তাঁদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। জনগণের সম্পদ বিদেশিদের দিয়ে দেওয়ার নানা রকম গোপন ও প্রকাশ্য তৎপরতা চালাচ্ছেন তাঁরা।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নেতা আ ফ ম মাহবুবুল হকের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভায় তিনি এ কথাগুলো বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর একটা লাভজনক প্রতিষ্ঠান, সেটা বিদেশি কোম্পানিকে দিয়ে দিচ্ছেন। টেন্ডার ছাড়া শেখ হাসিনা এই কোম্পানিকে এর দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনার অসমাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সরকারের জোরজবরদস্তি দেখা যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা হুমকি দিয়েছেন, ‘যারা বিরোধিতা করছে, তাদের প্রতিহত করতে হবে। আমাদের যে পরিবহন উপদেষ্টা আছেন, তিনি এমন সব কথাবার্তা বলছেন, যেগুলোর অর্থ দাঁড়ায় জোরজবরদস্তি করে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, এই সরকারের কিছু সংস্কার করার কথা, নির্বাচন করার কথা। কিন্তু সে নির্দিষ্ট কয়েকটা দলের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। এটা হচ্ছে সমস্যার কারণ এবং নির্দিষ্ট কয়েকটা দলের দ্বারা পরিচালিত হওয়ার পাশাপাশি আবার তার কিছু পক্ষপাতের ঘটনা, সেটার কারণেই জটিলতা তৈরি হয়েছে। তার মানে অন্তর্বর্তী সরকারের যে ভূমিকা পালন করার কথা, তার থেকে বিকৃতির কারণেই আজকের এই সমস্যা।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, এই সরকার স্থায়ী সরকার না হলে আপনি স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি কীভাবে করেন? স্থায়ী সরকার না হলে বছরের পর বছরের জন্য এলএনজি আমদানির চুক্তিগুলো কীভাবে করেন? এগুলো আন্তর্জাতিক কিছু বহুজাতিক স্বার্থ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে এবং দেশের মধ্যে দক্ষিণপন্থীদের প্রতিনিধিত্ব করা এই দুইয়ের সম্মেলন এই সরকারের মধ্যে দেখা যাচ্ছে।
আলোচনা সভায় বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ভুঁইয়া, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, লেখকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।