গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে নেতা–কর্মীদের কেউ আসেন না
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। নেতা–কর্মীদের কেউ নেই সেখানে। একই চিত্র দেখা গেল গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়েও। এ কার্যালয়ে তালা লাগানো হয়নি। তবুও এখানে কর্মীদের আগের মতো ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে না। আসছেন না নেতারাও।
আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে সরেজমিনে গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশ বেশ ফাঁকা। কার্যালয়ে নেতা–কর্মীদের আনাগোনা নেই। মূল ফটকের ভেতরে দুজন নিরাপত্তাকর্মী বসে আছেন। তাঁদের একজন দিলীপ প্রথম আলোকে বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের পর থেকে কার্যালয়ে কেউ আসেন না।’
সামনের চায়ের দোকানে বসেছিলেন কার্যালয়ের আরেকজন কর্মচারী মো. এজাজ। তিনি জানান, কার্যালয়ের ভেতরে ৩–৪ জন কর্মচারী থাকেন। ২৪ ঘণ্টা তাঁদের থাকতে হয়। কার্যালয়ের ভেতরে তাঁরা রান্না করেন। সেখানেই ঘুমান। এজাজ বলেন, ‘বিএনপির নেতা–কর্মীদের কেউ এখন আর কার্যালয়ে আসছেন না।’
নেতা–কর্মী না থাকলেও বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে। তাঁদেরই একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কার্যালয়ে তো কেউই আসেন না। একেবারে নীল। সারা দিন বসে থাকতে হচ্ছে।’
গোয়েন্দা সংস্থার আরেক সদস্য বললেন, গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর দুদিন গুলশান কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ছিল। এর পর থেকে আর পুলিশ রাখা হয়নি।
গুলশান কার্যালয়ের সামনে থেকে কাউকে আটক করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে গোয়েন্দা সংস্থার ওই সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেউই তো আসছে না। আটক করবে কাকে?’ কাউকে আটক করার ক্ষমতা তাদের নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কার্যালয়ে কেউ এলে ঊর্ধ্বতনদের বার্তা পাঠিয়ে তা জানানো হয়।