নির্বাচনে হেফাজতের কোনো প্রার্থিতা নেই বলে জানালেন সংগঠনের আমির

চট্টগ্রামে ফটিকছড়ির জামিয়া ইসলামিয়া আজিজুল উলুম (বাবুনগর মাদ্রাসা) মাদ্রাসায় আজ সকালে সংগঠনের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়
ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামে ফটিকছড়ির জামিয়া ইসলামিয়া আজিজুল উলুম (বাবুনগর মাদ্রাসা) মাদ্রাসায় সংগঠনের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে এই সভা হয়।

লিখিত বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী কারাবন্দী আলেমদের মুক্তি এবং তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার করে দেশে পুনরায় আস্থা, স্থিতিশীলতা, ভালোবাসার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অন্যথায় কোনো কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।

হেফাজতের আমির বলেন, ‘মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি মুনির হোসাইন কাসেমী, মুফতি মাহমুদ গুনবী, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ কারাবন্দী সব আলেমকে মুক্তি দিন। আলেম-ওলামাকে জেলে রেখে নির্যাতন ও অপদস্থ করলে আপনাদের কখনো কল্যাণ হবে না।’

হেফাজতে ইসলামকে একটি ‘অরাজনৈতিক’ সংগঠন বলে দাবি করেন সংগঠনের আমির। তিনি বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম কোনো রাজনৈতিক দল নয়। জাতীয় ও আঞ্চলিক নির্বাচনে আমাদের কোনো প্রার্থিতা নেই, প্রোপাগান্ডাও নেই। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের সংশ্লিষ্টতা নেই। হেফাজতের ব্যানারে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করার সুযোগও নেই।’

তবে হেফাজত আমির বলেন, এ দেশে মুসলমানদের ইমান-আকিদা রক্ষার উদ্দেশ্যে এই সংগঠনটি গঠিত হয়। তাই শুধু ইসলামি শিক্ষা, সংস্কৃতি ও তাহজিবের বিকাশ এবং নাস্তিক্যবাদের প্রতিরোধে হেফাজত কাজ করে যাবে। ক্ষমতাকেন্দ্রিক কোনো ধরনের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ এই সংগঠনের নেই।

সংগঠনের ১৩ দফা দাবির উল্লেখ করে মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, ‘হেফাজত তার সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তথা ১৩ দফা দাবি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আমরা সরকারের শত্রু নই। সরকারের কাজ সরকার করুক, আমাদের কাজ আমরা করব। তবে নাস্তিক্যবাদী শক্তি যদি মাথাচাড়া দেয় এবং কোরআন, আল্লাহ, রাসুল (সা.)–এর নামে কটূক্তি করে বা ইসলামবিদ্বেষ ছড়ায়, আর সরকার যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে ইমানের তাগিদে আমরা তার প্রতিবাদ করব, প্রয়োজনে গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজেদুর রহমান, মুফতি খলিলুর আহমাদ কাসেমী, মাওলানা মাহফুজুল হক, আল্লামা সালাহউদ্দিন নানুপুরী, মুফতি জসিম উদ্দিন, মাওলানা আবদুল আউয়াল, আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী প্রমুখ।