১৮০টি আবেদন জমা পড়েছে: ইসি আনিছুর

নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান
ফাইল ছবি

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়ার ওপর দাবি ও আপত্তি–সম্পর্কিত ১৮০টি আবেদন পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অবশ্য এ সংখ্যা আরও কিছু বাড়তে পারে।

আজ সোমবার নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তিনি জানান, কতটি সংসদীয় আসনের বিপরীতে এসব আবেদন এসেছে, কতটি আসনের খসড়া নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। এখন আবেদনগুলো আসনভিত্তিক বিন্যাস করার পর এটি জানা যাবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা ‘পুনর্নির্ধারণ’ করে তা খসড়া আকারে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করেছিল ইসি। খসড়ায় আসনগুলোর বর্তমান সীমানাই বহাল রাখা হয়। নতুন প্রশাসনিক এলাকা (উপজেলা, ওয়ার্ড) সৃষ্টি হওয়ায় শুধু ছয়টি সংসদীয় আসনে পরিবর্তন এসেছে। তবে তাতে কোনো আসনের বর্তমান সীমানার পরিবর্তন হয়নি। শুধু নতুন প্রশানিক এলাকার নাম যুক্ত হয়েছে। এই খসড়া নিয়ে কারও কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে তা ১৯ মার্চের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলেছিল ইসি। গতকাল রোববার সে সময়সীমা শেষ হয়েছে।

আজ নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত ১৮০টি আবেদন জমা পড়েছে। ইসির বিভিন্ন দপ্তরে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে আরও কোনো আবেদন আছে কি না। এখন আবেদনগুলো আসনভিত্তিক বিন্যাস করা হবে। কোন আসনে কতটি আবেদন পড়েছে, তখন তা জানা যাবে। এক আসনে একাধিক আবেদন থাকতে পারে।

আনিছুর রহমান বলেন, আসনভিত্তিক বিন্যাস করতে কয়েক দিন সময় লাগবে। আবেদনগুলো আসনভিত্তিক বিন্যাসের পর কমিশন শুনানির ব্যবস্থা করবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আবেদনগুলোর মধ্যে অনেকটি ইসির খসড়া প্রস্তাবকে সমর্থন করে দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে এগুলোর শুনানির প্রয়োজন হবে না। তবে খসড়ায় প্রস্তাবিত সীমানার পরিবর্তন চেয়ে আবেদন থাকলে সেগুলো শুনানির প্রয়োজন হবে।

সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইনে প্রশাসনিক সুবিধা বিবেচনা করে ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং দেশের সবশেষ জনশুমারি যতটা সম্ভব বিবেচনায় নিয়ে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কথা বলা আছে। তবে ইসি বলছে, সবশেষ জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেতে আরও বছরখানেক অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু তার আগেই আগামী সংসদ নির্বাচন করতে হবে। এ কারণে প্রশাসনিক সুবিধা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে গুরুত্ব দিয়ে খসড়া প্রকাশ করা হয়। খসড়ায় যে ছয়টি আসনে সামান্য পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো হলো—ময়মনসিংহ-৪, মাদারীপুর-৩, সুনামগঞ্জ-১, সিলেট-১, সিলেট-৩ এবং কক্সবাজার-৩।