আজ বুধবার সকাল ১১ টা থেকে বেলা সোয়া ১ টা পর্যন্ত রাজধানীর বিজয় নগর পানির ট্যাংকের সামনের সড়কে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।
বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি সমর্থন করে এসব দাবি আদায়ে ১২-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরাও আজ গণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
গণ অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, উচ্চ আদালতকে ব্যবহার করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে এই সরকার। নিজেদের হীন স্বার্থে সংবিধান সংশোধন করেছে তারা। যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে হটিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই ১২ দলীয় জোটের লক্ষ্য।
১২ দলীয় জোটের অবস্থান কর্মসূচির সভাপতি জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। জনগণকে নিয়েই এই সরকারকে হটাতে হবে।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে এই সরকার ক্ষমতায় আছে। বেগম খালেদা জিয়াসহ সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে চরিত্র হনন করছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করছে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকার হটিয়ে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা না করে ১২ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা ঘরে ফিরবেন না।
সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের গতি ও ব্যাপ্তি বাড়াতে গত ৯ ডিসেম্বর ২০-দলীয় জোট অনানুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেয় বিএনপি।
কোনো না কোনোভাবে ২০-দলীয় জোটে ছিল—এমন ১২টি দল মিলে গত ২২ ডিসেম্বর ১২-দলীয় জোট আত্মপ্রকাশ করে।
১২ দলীয় জোটে রয়েছে—মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি (জাফর), মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ লেবার পার্টি, সৈয়দ এহসানুল হুদার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় দল, কে এম আবু তাহেরের নেতৃত্বে এনডিপি, শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এলডিপি, জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরামের নেতৃত্বে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, মাওলানা আবদুর রকীবের নেতৃত্বে ইসলামী ঐক্যজোট, তাসমিয়া প্রধানের নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, আবুল কাসেমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি।