সরকার আসলে কার কথায় চলে, প্রশ্ন জোনায়েদ সাকির
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা জনগণের নিরাপত্তা দেওয়ার জায়গায় নাই। অনেক জায়গায় তাদের ভূমিকা রহস্যজনকভাবে নিরব। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ার পরও প্রশাসনের কোনো জবাবদিহি নেই। সরকার আসলে কাদের কথায় চলে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকারকে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচনের পরিবেশ মনিটরিং কমিটি করার জন্য আমরা বারবার আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু কোনো জবাব তাঁরা দেন নাই। কার কথা শোনেন আপনারা? এটা আমরা জানতে চাই।’
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নির্বাচন ও নাগরিক নিরাপত্তা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম নাগরিক কোয়ালিশন। এতে রাজনীতিবিদ, অধিকারকর্মী এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা জনগণের নিরাপত্তা দেওয়ার জায়গায় নাই। অনেক জায়গায় তাদের ভূমিকা রহস্যজনকভাবে নিরব। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর পুলিশ বা অন্যান্য বাহিনী যাচ্ছে। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ার পরও প্রশাসনের কোনো জবাবদিহি নেই। তিনি বলেন, নিরাপত্তা এমনি এমনি আসে না; নিরাপত্তা আসার আগে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তটা খুব জরুরি। বিচার সংস্কার নির্বাচন বাংলাদেশের এই মুহূর্তে প্রধান জাতীয় স্বার্থ। এটা যাঁরা ব্যাহত করছেন, তাঁরা সরাসরি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যা এবং পরবর্তী সময় প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা ও আগুন প্রসঙ্গ টেনে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না। হত্যাকারী হত্যা করে ১২ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। আবার হামলা হচ্ছে, সেটাতে কোনো প্রতিকারের ব্যবস্থা নেই। সরকার বলছে, “আমরা পাশে আছি”। সব পুড়ে যাওয়ার পরে তারা পাশে আছে।’
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা প্রমুখ। বৈঠকটি পরিচালনা করেন নাগরিক কোয়ালিশনের সহসমন্বয়ক ফাহিম মাশরুর।