দুই দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া সব চুক্তি উন্মুক্ত করা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব মুকিতুল হাসানের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভছবি: প্রথম আলো

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া সব সামরিক-বেসামরিক চুক্তি উন্মুক্ত করা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দ্বিতীয় সচিব মুকিতুল হাসানের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনে’ করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ)।

আজ শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে মিছিলটি বের হয়ে হলপাড়া ঘুরে মধুর ক্যানটিন হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তামজিদ হায়দার। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার।

সমাবেশে তামজিদ হায়দার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের জনগণের মার্কিন সাম্রাজ্যবাদবিরোধী লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস আছে। এ অঞ্চলের জনগণের সংগ্রামের কাছে বারবার সব সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদ পরাস্ত হয়েছে।

সাম্রাজ্যবাদবিরোধী লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি বলেন, অবিলম্বে দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে মুকিতুল হাসানের মামলা প্রত্যাহার করে তাঁকে স্বপদে বহাল করতে হবে।

ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক রথীন্দ্র নাথ বাপ্পি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতজানু সম্পর্ক দেখলে মনে হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের শরীর বাংলাদেশে থাকলেও, মন পড়ে আছে ওয়াশিংটনে।

ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, ঔপনিবেশিক স্টেট সিক্রেটস অ্যাক্টের (রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন) মাধ্যমে এনবিআর কর্মকর্তা মুকিতুল হাসানকে বরখাস্ত করা পুরোপুরি অবৈধ। মুকিতুল হাসান কোনো অপরাধ করেননি, বরং দেশপ্রেমের প্রমাণ দিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার দেশ বিক্রির চুক্তি বাতিল না করলে পরবর্তী সময়ে ছাত্র-জনতাকে সংগঠিত করে হরতাল-অবরোধসহ বৃহত্তর কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।