প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে কে গিয়ে কোনটা ভাঙবে, কোনটা ধরবে

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হকফাইল ছবি

ঝুঁকিপূর্ণ ও অননুমোদিত ভবনগুলোতে অভিযান কার্যক্রমে সমন্বয়হীনতা দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক। তিনি বলেছেন, সরকারের কোন সংস্থা গিয়ে কোন ভবন (রেস্তোরাঁ) ভাঙবে, তা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে মুজিবুল হক এই অভিযোগ করেন।

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানেন না উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক বলেন, ‘বিভিন্ন দপ্তর এত ত্বরিত গতিতে...। রাজউক একদিকে যায়, গিয়ে একটি হোটেল বন্ধ করে। আবার দক্ষিণের সিটি করপোরেশন, তারা যাচ্ছে এক জায়গায়। ফায়ার ব্রিগেড যাচ্ছে...। একটা প্রতিযোগিতা আরম্ভ হয়ে গেছে। কে গিয়ে কোনটা ভাঙবে। কোনটা আটকাবে। কোনটা ধরবে।’

মুজিবুল হক বলেন, এক ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে দোকান ভাঙেন। আরেকজন গিয়ে বলছেন বন্ধ করেন। এতে করে এলোপাতাড়ি হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে এটা না হয়, তার জন্য দায়িত্বশীলদের সমন্বিতভাবে ধীরস্থিরভাবে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে সমন্বয়হীনতার অভাবে আবারও সমস্যা হবে।

একটা সমন্বয়হীনতার মধ্যে এই কাজ চলছে অভিযোগ করে মুজিবুল হক বলেন, তিন-চারটা বিভাগ এখন ত্বরিত ব্যবস্থা নিচ্ছে। কয়েক দিন পরে দেখা যাবে আর কেউ নেই। একদম নীরব-নিস্তব্ধ হয়ে যাবে।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তারানা হালিম বলেন, পুরান ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডের পর কেমিক্যাল কারখানাগুলো সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু কার্যকর করতে গিয়ে দেখা যায়, বাসিন্দারা এ কাজে সহায়তা করেন না। তিনি বলেন, যত্রতত্র গড়ে ওঠা এবং যেগুলো বাসাবাড়ির জন্য তৈরি করা, সেটা বাণিজ্যিক জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হয় বলেই ফায়ার এক্সিট (অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবন থেকে বের হওয়ার রাস্তা) থাকে না। তখন সমস্যা হয়। তিনি সরকারি দপ্তরগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করা এবং জনগণকে সহায়তা করার আহ্বান জানান।