শিক্ষার্থী না হয়েও বাগিয়ে নেন ছাত্রলীগের পদ

ইউনুস মাতব্বর
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী না হয়েও বাগিয়ে নিয়েছিলেন ছাত্রলীগের পদ। নিয়মিত অংশ নিচ্ছিলেন বিভিন্ন কর্মসূচিতে। তবে সম্প্রতি বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে। এরপর আজ মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই তরুণকে ছাত্রলীগের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে।

ওই তরুণের নাম ইউনুস মাতব্বর। তিনি আইন বিভাগ ছাত্রলীগের ১ নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে ছিলেন।

ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইউনুস মাতব্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পরিচয়ে এই পদ পান। তবে ওই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বলছেন, শুরুর দিকে কয়েকটি ক্লাসে অংশ নিলেও পরে আর কখনো ক্লাস বা পরীক্ষা অংশ নিতে দেখা যায়নি তাঁকে। যদিও ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিতেন তিনি। সর্বশেষ গত ২১ জানুয়ারি আইন বিভাগ ছাত্রলীগের ১ নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান ইউনুস।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়েছে, ইউনুস মাতব্বর মিথ্যা প্রত্যয়নপত্র ও পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে প্রতারণার মাধ্যমে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়ে আইন বিভাগ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পান। বিষয়টি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নজরে আসার পর বিষয়টি যাচাই করে প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাঁকে এই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া ইউনুস মাতব্বরের কোনো অপকর্মের দায় পরবর্তী সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ বহন করবে না। একই সঙ্গে অভিযুক্তকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ বরাবর সুপারিশ করা হয়েছে।

এদিকে ইউনুস মাতব্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কি না—বিষয়টি জানতে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান সরকার আলী আক্কাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘দাপ্তরিক কাগজপত্র দেখে নিশ্চিত হয়েছি সে (ইউনুস মাতব্বর) আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থী কখনোই ছিল না। সে কখনো আমাদের এখানে ক্লাস পরীক্ষাতেও আসেনি।’