অনুমতি না পেয়ে ঢাকায় মিছিল করেনি জামায়াত

পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেনি জামায়াতে ইসলামী। তবে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় শনিবার ঝটিকা মিছিল করেছে দলটি।

এক বিবৃতিতে জামায়াত বলেছে, আজ বিক্ষোভ মিছিলের সময় এবং মিছিলের আগে রাজশাহী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও নোয়াখালী থেকে তাদের প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির সেক্রেটারি আলমগীর হোসেন, দিনাজপুর উত্তর সাংগঠনিক জেলার আমির আনিছুর রহমান, দক্ষিণ জেলার কর্মপরিষদের সদস্য মনজুরুল কাদেরসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়ায় মিছিলের আগেই সাতজন, রাজশাহী মহানগর থেকে নয়জন এবং নোয়াখালী থেকে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ‘শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশের পাঠ্যপুস্তকে ইসলামবিরোধী শিক্ষা যুক্ত করে ভুল শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। সরকার অত্যন্ত সুকৌশলে ইসলামবিরোধী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নের মাধ্যমে শিশুদের মনে ইসলাম ধর্মের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখালে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দেশের ইসলামপ্রিয় জনতা এটা কিছুতেই মেনে নেবে না।’

বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির আরও বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার এ পর্যন্ত ১২ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। ফলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। কিন্তু বিনা ভোটের সরকারের সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ ও দায়বদ্ধতা নেই। দুর্নীতি আর লুটপাটই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। জনগণ লক্ষ করছে, বিনা ভোটের সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আবার নির্বাচনের নামে প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক জনতা তা কিছুতেই হতে দেবে না।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের (ডিএমপি) কাছে লিখিত আবেদন করে আজ রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করার অনুমতি চেয়েছিল জামায়াত। আবেদনে বলা হয়েছিল, পাঠ্যপুস্তকে ইসলাম ধর্মবিরোধী বিভিন্ন বিষয় সংযোজন করা, মুসলমান শাসকদের দস্যু হিসেবে প্রতিপন্ন করা, ইসলামের মৌলিক বিষয়কে হেয় করা, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হবে।