গণ–ইফতারে হামলাকারীদের বিচার চেয়েছে হেফাজতে ইসলাম

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ–ইফতারে ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। একই সঙ্গে ছাত্রলীগের যে নেতা-কর্মীরা এ হামলায় জড়িত, তাঁদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। অন্যথায় যেকোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে হেফাজত।

গত সোমবার ফেনী সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের গণ–ইফতারে ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এই হুঁশিয়ারি দেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই গণ–ইফতারের আয়োজন করা হয়েছিল। হামলায় আটজন আহত হন।

ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ ও ফেনী কলেজ সভাপতি নোমান হাবিবের নেতৃত্বে ক্রিকেটের ব্যাট-স্ট্যাম্প দিয়ে পেটানো হয় বলে আহত ব্যক্তিদের অভিযোগ। তবে দুই ছাত্রলীগ নেতা মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে ছাত্রশিবির ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় শিবিরের কর্মীদের কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

ফেনীর ঘটনা ছাড়াও বিবৃতিতে হেফাজত নেতা জুনায়েদ আল হাবিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় কোরআন তিলাওয়াত অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের হামলা, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার অনুষ্ঠানের ওপর ‘বিধিনিষেধ’ আরোপের ঘটনা উল্লেখ করেন।

জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় কোরআন তিলাওয়াত অনুষ্ঠানের আয়োজক শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানতে চেয়ে এবং কেন তাঁদের শাস্তির আওতায় আনা হবে না, এ ব্যাপারে লিখিত বক্তব্য জানতে চেয়ে আরবি বিভাগের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন। এ ঘটনায় হেফাজত নেতৃত্ব বিস্মিত ও হতবাক হয়েছেন।

এই হেফাজত নেতা বলেন, ‘যে দেশের ৯০ ভাগ নাগরিক মুসলিম, সে দেশের প্রধান শিক্ষাঙ্গন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ব্রাহ্মণ্যবাদের দালালেরা জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সেক্যুলারদের নানা অনুষ্ঠান হতে পারে, বিশ্ববিদ্যালয় হলে বিভিন্ন পূজা-পার্বণ চলে; ক্যাম্পাসে কবিতা আবৃত্তি, পথনাট্য, কনসার্টসহ সব সাংস্কৃতিক আয়োজন হতে পারে, রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোর সভা হতে পারে, কিন্তু রমজানে মুসলিম শিক্ষার্থীদের কোরআন তিলাওয়াতের অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে।’