সাক্ষাৎকার: রাশেদ খান মেনন

তদন্ত করে শাস্তি দেওয়া জরুরি

আজিজ আহমেদ ও বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের কলকাতায় খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা। এ নিয়ে সংসদ সদস্য, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রিয়াদুল করিম

প্রথম আলো:

আজিজ আহমেদ ও বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের খুনের ঘটনায় চোরাচালানের অভিযোগ—এ ঘটনাগুলো আপনি কীভাবে দেখেন?

রাশেদ খান মেনন: এগুলো হলো, আমি মনে করি রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে দুর্নীতি করা। এ ধরনের অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে এসেছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে এখানে প্রাতিষ্ঠানিক প্রধানদের নাম চলে এসেছে, যেটা সে প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে আস্থা, বিশ্বাসকে নষ্ট করার শামিল। সুতরাং খুব জরুরি ভিত্তিতে বিষয়গুলোকে উদ্‌ঘাটন করে যথাযথ শাস্তি বিধান করা দরকার, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।

প্রথম আলো:

এই যে আপনি বললেন, দুর্নীতিতে প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নাম চলে এসেছে; এ পরিস্থিতি হওয়ার পেছনে ঘাটতি কোথায় বলে আপনার মনে হয়?

রাশেদ খান মেনন: এখানে ঘাটতি হলো রাষ্ট্রকে ব্যবহার করার যে প্রবণতা, সেটা এবং মনিটরিং করার যে প্রয়োজন ছিল, তা না থাকায় এ পরিস্থিতি হয়েছে।

প্রথম আলো:

এ অভিযোগগুলো যে এল, এসব বিষয়ে জাতীয় সংসদ কি কোনো ভূমিকা রাখতে পারে?

রাশেদ খান মেনন: অবশ্যই জাতীয় সংসদে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে, এটাতে কোনো সন্দেহ নেই।

প্রথম আলো:

এই তিনটি ঘটনায় এখন পর্যন্ত সরকারের যে ভূমিকা, সেটি আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

রাশেদ খান মেনন: এখন পর্যন্ত সরকার তো না, দুর্নীতি দমন কমিশন যে ভূমিকা রাখছে, তাতে আমরা আশাবাদী। তবে এটা আবার আবদুল হাই বাচ্চুর ঘটনার মতো যেন ঝুলে না যায়, সেটা দেখার বিষয়। এ ঘটনাগুলো দুর্নীতি দমন কমিশনের সক্ষমতাকে প্রমাণ করবে যে তারা যথাযথভাবে দুর্নীতির ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারে কি না।

প্রথম আলো:

একজন সংসদ সদস্য ভারতে গিয়ে খুন হয়েছেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এটি জাতীয় সংসদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে কি না?

রাশেদ খান মেনন: নিশ্চয়ই। একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে যখন এ ধরনের অভিযোগ আসে, সেটা অবশ্য প্রমাণসাপেক্ষ। কিন্তু তারপরও এ ধরনের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়াটাই আমাদের সংসদকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। মানুষের মধ্যে আস্থাবোধের অভাব সৃষ্টি করে।