জনগণ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন দেখতে চায়: সারোয়ার তুষার
জনগণ জুলাই সনদের বাস্তবায়ন দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ চলার মধ্যে এ কথা বলেন তিনি।
সংলাপের বিরতিতে সারোয়ার তুষার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে আমরা এটা বলতে পারি যে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই একটা জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে—জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি আগে নিশ্চিত করতে হবে।’
রাজনৈতিক দলগুলো এক হলে জনগণও তা মেনে নেবে বলে মনে করেন সারোয়ার তুষার। তিনি বলেন, ‘জনগণ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন দেখতে চায়। আগে দলগুলো এক ছিল না। এখন দলগুলো এক হলে জনগণ আরও ইতিবাচক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একসময় ‘সাংবিধানিক আদেশ’ জারির প্রস্তাব দিয়েছিল উল্লেখ করে সারোয়ার তুষার বলেন, আবার কিছু দল বলেছিল ‘লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার’ (আইনি কাঠামো) বা ‘রেফারেন্ডাম (গণভোট) অধ্যাদেশ’ করতে।
সারোয়ার তুষার বলেন, ‘আমরা বলেছি, নাম যেটাই হোক—সাংবিধানিক আদেশ, লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার বা রেফারেন্ডাম অধ্যাদেশ—এই ভিত্তিতে গণভোট হতে হবে এবং সেটি সাধারণ নির্বাচনের দিনেই করা যেতে পারে।’
জুলাই সনদের কিছু প্রস্তাব কেবল সাংবিধানিক সংশোধন দিয়ে বাস্তবায়ন সম্ভব নয় উল্লেখ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদে সীমাবদ্ধতা, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন কিংবা হাইকোর্ট বিভাগকে বিকেন্দ্রীকরণের মতো বিষয়গুলো শুধু সংশোধন এনে সম্ভব নয়।
জুলাই সনদের প্রতিটি প্রস্তাব আলাদাভাবে গণভোটে তোলা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সারোয়ার তুষার বলেন, গণভোট হবে জুলাই সনদ নিয়েই। ৮৪ বা ৮৬টি প্রশ্নে কখনো গণভোট হয় না। এটি হবে, জনগণ জুলাই সনদ অনুমোদন করে কি না—এ ধরনের ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ প্রশ্ন।