রাজধানীতে প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে হামলা-অগ্নিসংযোগ

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) গণসংযোগে হামলা করে প্রচারপত্র কেড়ে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন হামলাকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর পল্টন এলাকায়ছবি: সংগৃহীত

৭ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে এবি পার্টি ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা প্রচারপত্রে আগুন ধরিয়ে দেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টন ও সেগুনবাগিচা এলাকায় পৃথকভাবে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দুই দলের ৯ জন আহত হন।

আজ বেলা তিনটা থেকে পল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল ও সেগুনবাগিচা এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। বিকেল চারটার দিকে পুরানা পল্টনের দিক থেকে খোলা ট্রাক ও ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেলে এসে এবি পার্টির কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা প্রচারপত্র কেড়ে নেন এবং সেগুলো এক জায়গায় জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেন। হামলায় এবি পার্টির দুই কর্মী সোহাগ ও মশিউর আহত হন। এবি পার্টির অভিযোগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা করেছেন।

প্রচারপত্র বিতরণের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, বি এম নাজমুল হক ও প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত। তাজুল ইসলাম বলেন, ‘একটি নির্বাচন হচ্ছে, যেখানে দলের প্রার্থী, ডামি প্রার্থী, বিরোধী দলের প্রার্থী—সবই ঠিক করছেন একজন। তাঁর হুকুমেই সব নির্ধারণ করা হচ্ছে। তাঁর একক ভোটেই যখন সব নির্ধারণ করা হচ্ছে। তখন সেখানে জনগণের ভোটের আর কোনো প্রয়োজন নাই।’

এদিকে এবি পার্টির প্রচারপত্র বিলি কর্মসূচিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমান (মঞ্জু)। তারা হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করেন এবং গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে সমাবেশ করেন এবি পার্টির নেতা–কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর পল্টন এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

মিছিলে হামলা, সাতজন আহত
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আকবর খানসহ সাতজন আহত হন। দলটির নেতা-কর্মীরা জানান, গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির একটি মিছিল পার্টির কার্যালয় থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে সেগুনবাগিচা হাইস্কুলের সামনে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল মিছিলে হামলা করে। তারা পার্টির ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলে।

হামলায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, কেন্দ্রীয় সংগঠক আইয়ুব আলী, জামাল শিকদার, ঢাকা মহানগরের নেতা মেহেদী হাসানসহ সাতজন আহত হন। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা-কর্মীরা হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন।

দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা এতই বেপরোয়া যে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ মিছিলকেও তাঁরা সহ্য করতে পারছেন না। কোনো হামলা ও আক্রমণের কাছে জনগণ মাথা নত করবে না।