বিরোধীদের বেকায়দায় ফেলতে সরকার দ্রুত তফসিল দিতে পারে: গণতন্ত্র মঞ্চ
সরকার এখন বিপদে ও আতঙ্কে আছে বলে মন্তব্য করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। এ জন্য বিরোধী দলগুলোকে বেকায়দায় ফেলতে সরকার দ্রুত তফসিল ঘোষণা করে আগাম নির্বাচন করে ফেলতে পারে বলে সন্দেহ পোষণ করছেন এই মঞ্চের নেতারা।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলা হয়। গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে ‘একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা, সম্ভাব্য বিপর্যয় ও জনগণের করণীয়’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভা হয়।
আলোচনা সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকারের বক্তব্যে এখন আতঙ্কের প্রকাশ স্পষ্ট। এই আতঙ্ক থেকে তারা এখন অনেক কিছুই করতে পারে। দ্রুত তফসিল ঘোষণা করে যেনতেন একটা নির্বাচনপ্রক্রিয়া শুরু করতে পারে, যাতে করে বিরোধী দলের আন্দোলনকে বেকায়দায় ফেলা যায়। সরকারের যেকোনো অপকৌশল মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ এখন সত্যি বিপদে আছে। বড় বড় কথা আর বলে না। তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন আর করা যাবে না। সরকার নির্বাচন পর্যন্ত যেতে পারবে না। তফসিল ঘোষণা করতে পারে কি না, সন্দেহ। নিজেদের কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পূজার পরে ভালোভাবে আসবেন, যা সরকারের জন্য ভালো হবে না।’
সভাপতির বক্তব্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার যদি বিরোধী দলকে ফাঁদে ফেলার জন্য আগাম তফসিল ঘোষণা করতে চায়, বিরোধী দল সে চক্রান্ত মোকাবিলা করতে তৈরি আছে।
বিএনপি নেতাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। জোনায়েদ সাকি বলেন, সাধারণ কথা বলার জন্য জেলে ঢোকানো হয় আর সরকারি দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা ফৌজদারি অপরাধের কথা বলেছেন। কিন্তু এর কোনো প্রতিকার নেই।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কী বলেন, তা শুনেছেন? রাজা যত বলে, পারিষদ বলে তার শতগুণ।’ সাইফুল হক বলেন, এই ধরনের কথা বিরোধী দলের কেউ বললে সঙ্গে সঙ্গে মামলা হতো।
সভায় আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ।