সরকার পতনের লড়াইয়ে ‘দেশপ্রেমিকদের’ যোগ দেওয়ার আহ্বান গণতন্ত্র মঞ্চের

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলার সামনে সোমবার বিকেলে সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। দেশব্যাপী মিছিল-সমাবেশের মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত করে ‘চরম ফ্যাসিবাদী’ এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে চায় তারা। এ ছাড়া বিরোধী দলগুলোর সঙ্গেও তারা যুগপৎ ধারায় আন্দোলন করবে। এই আন্দোলনে যোগ দিতে ‘দেশপ্রেমিক জনগণের’ প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলার সামনে সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হোন এবং রাজনৈতিক সভা–সমাবেশে বাধা, হামলা-মামলা, দমন-পীড়ন, গুলি-হত্যা বন্ধের দাবিতে এই সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় অনেকে ঠিকমতো খেতে পারছেন না, তাঁরা প্রতিদিন সরকারকে গালি দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় গেলে চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখব। বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করব।’

সরকার পতনের আন্দোলনে দেশপ্রেমিকদের যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চের তরফ থেকে দেশব্যাপী মিছিল-সমাবেশের মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত করে, অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে যুগপৎ ধারায় এই চরম ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করার বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন তাঁরা।

সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান (মান্না) বলেছেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখবেন
ছবি: সংগৃহীত

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ সরকার পতনের লড়াই শুরু করেছে। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২১ অক্টোবর মিরপুরে, ২৭ অক্টোবর উত্তরায় এবং পর্যায়ক্রমে ঢাকার বিভিন্ন থানায়, বিভাগ ও জেলায় গণতন্ত্র মঞ্চ সমাবেশ করবে। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের মুক্তির জন্য নতুন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সূচনা করতে চাই।’

গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নূরুল হক বলেন, সরকার গদি রক্ষার জন্য চরম মিথ্যাচার করেছে। ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ আন্দোলনে হামলার পরিণতি ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ বলেন, ‘সরকার প্রতিবাদী মিছিলে গুলি করছে। এই ফ্যাসিবাদী সরকার থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে রক্ত দিতে হবে। আমরা রক্ত দিতে প্রস্তুত।’

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলার সামনে সোমবার বিকেলে সমাবেশে উপস্থিত গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা–কর্মীরা
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দুর্ভিক্ষ থেকে রক্ষা পেতে এই সরকারের পতনের আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন বলেন, দেশে অধিকারহীন মানুষেরা একবার সমস্বরে আওয়াজ তুললে অপরাধীরা দেশ থেকে পালিয়ে যাবেন।