তারেক রহমানের গণসংবর্ধনাস্থলে সকালেই বিপুল নেতা–কর্মী, চলছে স্লোগান

পূর্বাচল ৩০০ ফিটে তারেক রহমানের গণসংবর্ধনাস্থলে বিএনপির নেতা কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকেছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলে সকালেই জড়ো হয়েছেন দলটির বিপুলসংখ্যক নেতা–কর্মী।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে স্বদেশে স্বাগত জানাতে রাজধানীর পূর্বাচলের জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট এলাকা) আজ বৃহস্পতিবার সকালেই বিএনপির নেতা–কর্মীদের ভিড় দেখা গেছে।

সকালের আলো ফোটার পর থেকেই হেঁটে হেঁটে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে গণসংবর্ধনাস্থলে আসেন তাঁরা।

পূর্বাচল ৩০০ ফিটে তারেক রহমানের গণসংবর্ধনাস্থলে বিএনপির নেতা–কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে
ছবি: প্রথম আলো

দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ দুপুরে বাংলাদেশে আসছেন তারেক রহমান। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গণসংবর্ধনা মঞ্চে আসবেন তারেক রহমান। সেখানে তাঁকে বরণ করে নিতে অপেক্ষায় আছেন বিএনপির নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা।

রাজধানীর কুড়িলের সড়ক থেকে শুরু করে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ের (৩০০ ফিট সড়ক) গণসংবর্ধনা মঞ্চের পরবর্তী অংশ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে তারেক রহমানকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন রঙের ব্যানার-ফেস্টুন। আর কুড়িল মোড় থেকে বেশ খানিকটা দূরে সড়কের উত্তর অংশে দক্ষিণমুখী করে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি হয়েছে ৪৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৬ ফুট প্রস্থের মঞ্চ। মঞ্চে আসন পাবেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা।

সরেজমিন কুড়িলসংলগ্ন সংবর্ধনা মঞ্চের সামনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মীদের বিপুলসংখ্যক উপস্থিতি দেখা গেছে। এ সময় তাঁরা ‘মা-মাটি ডাকছে, তারেক রহমান আসছে’, ‘তারেক রহমান, বীরের বেশে, আসছে ফিরে বাংলাদেশে’, 'তারেক রহমান আসছে, বাংলাদেশ হাসছে'সহ নানা স্লোগান দেন।

গণসংবর্ধনা ঘিরে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে এলাকায় বসানো হয়েছে কয়েকটি ইলেকট্রনিক স্ক্রিন। এখানে মূল মঞ্চ এবং অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন নেতা–কর্মীরা
ছবি: প্রথম আলো

গণসংবর্ধনাস্থল ঘিরে এলাকাটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে কাজ করছেন পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবিসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। মঞ্চের দুই পাশে  আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি সেখানে রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যরা।

কুমিল্লা মহানগর বিএনপি নেতা শোয়াইব আহমেদ সোহেল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এত দিন আমাদের নেতার অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে তিনি আসলেন; আমাদের অপেক্ষা ফুরিয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং মানুষের মুক্তি নিশ্চিত হবে।’

গণসংবর্ধনা ঘিরে বিপুলসংখ্যক নেতা–কর্মীর আগমনের কথা জানানো হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। জনদুর্ভোগ এড়াতে ছুটির দিনে দেশে ফিরছেন  তারেক রহমান। গণসংবর্ধনা ঘিরে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে এলাকায় বসানো হয়েছে কয়েকটি ইলেকট্রনিক স্ক্রিন, যেখানে মূল মঞ্চ এবং অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন নেতা–কর্মীরা। এ ছাড়া রাস্তার ল্যাম্পপোস্টে লাগানো হয়েছে শতাধিক মাইক।

বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটির অবতরণের কথা রয়েছে। দেশে ফেরার পর তাঁকে বিমানবন্দর থেকে স্বাগত জানাবেন নেতা–কর্মীরা। এরপর তারেক রহমানকে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফুট সড়ক) গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে দলের পক্ষ থেকে। সেখান থেকে তিনি তাঁর মা, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন।

তারেক রহমান ২০০৭ সালে এক-এগারোর পটপরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান। এর পর থেকে তিনি সে দেশেই ছিলেন।