‘একতরফা’ নির্বাচন জনগণ মানে না: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল অভিযোগ করেছে, আওয়ামী লীগ সরকার গদি দখলে রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন দিয়ে ‘একতরফা’ নির্বাচন করতে চলেছে। সংগঠনটি বলছে, জনগণ এই ‘একতরফা’ নির্বাচন মানে না।

স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে বুধবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের নেতারা এসব কথা বলেন।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন, বর্তমান সরকারের একতরফা নির্বাচন জনগণ মানে না। তিনি বলেন, প্রহসনের এই নির্বাচন শুধু বর্জনই নয়, একে প্রতিহত করতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।

গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিসত্তার জনগণকে ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে আমোদ-প্রমোদের পর্যটনকেন্দ্র তৈরি করেছে। তিনি বলেন, উচ্ছেদ করা জাতিসত্তার জনগণকে কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়নি সরকার।

ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের ঢাকা অঞ্চলের সম্পাদক হেমন্ত দাস অভিযোগ করেন, বিরোধী দল ও মতকে দমন করতে সরকার গ্রামপর্যায়ে পুলিশ বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে। ‘সন্ত্রাসী’ তকমা লাগিয়ে বিএনপি নেতা–কর্মীদের জেলে পোরা হচ্ছে। সরকারের হুকুমই এখন দেশে আইনে পরিণত হয়েছে।

তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের হত্যার বিচারের দাবিতে সবাইকে রাজপথে নামার আহ্বান জানান ঢাকা অঞ্চল মুক্তি কাউন্সিল সংগঠক রফিক আহমেদ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা অঞ্চল ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মল্লিক।