বিএনপি কার্যালয়ে তারা নিজেরা তালা মেরে রেখেছে, বললেন ডিএমপি কমিশনার

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান

রাজধানীর নয়াপল্টনে ২৮ অক্টোবরের সংঘাতের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপি অফিসের সামনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। তবে পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে তালা দেয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

বিএনপির অবরোধের মধ্যে যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় দগ্ধদের দেখতে আজ মঙ্গলবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান ডিএমপি কমিশনার। তিনি দগ্ধদের দেখার পর সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

২৮ অক্টোবর সংঘর্ষের মধ্যে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর পুলিশ নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। এর পর থেকেই কার্যালয়ের কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলছে। নেতা-কর্মীরাও কেউ কার্যালয় আর আসছেন না।

আজ এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি কার্যালয়ে তারা নিজেরা তালা মেরে রেখেছে। এবং তারা তাদের কার্যালয়ে আসে না। কেন আসে না, তারাই ভালো বলতে পারবে। আমাদের পুলিশ সেখানে সব সময় থাকে। নিরাপত্তার জন্য বারো মাস থাকে। এখনো আছে।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘তারা যদি অফিস খুলে (বিএনপি কার্যালয়) কোনো কার্যক্রম করে তাতে কোনো আপত্তি নেই, কখনো ছিলও না।’

বিএনপি কার্যালয়ে তালা দেওয়ার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যের বিষয়ে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ প্রথম আলোকে বলেছেন, পুলিশ ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের পর থেকেই কেন্দ্রীয় কার্যালয় বন্ধ করে রেখেছে। কার্যালয়ে কেউ গেলেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এখন পুলিশ যে বক্তব্য দিচ্ছে, এটা তাদের আরেকটি ফাঁদ।

২৮ অক্টোবরের সমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে এক দিন হরতাল দেয় বিএনপি। দলটি এরপর চার দফায় ৯ দিন সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার বিরতি দিয়ে আগামীকাল বুধবার সকাল থেকে শুরু হচ্ছে পঞ্চম দফায় তাদের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ।

এই অবরোধের মধ্যে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে নাশকতার ঘটনা ঘটছে। অবরোধের সময় নাশকতা বিশেষ করে সন্ধ্যা ও ভোরে গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা নিয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, প্রথমে আমি এটি বলব, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময় সজাগ রয়েছে।

তবে তারা কিছু চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছি, যে সব জায়গা থেকে ওঠে এবং নামে, সেসব জায়গায় নজরদারি বাড়াতে।  ড্রাইভার ও হেলপারদের নির্দেশ দিয়েছি যেন তারা সজাগ থাকে। কোথাও গাড়ি ফাঁকা না রাখে।