মির্জা আব্বাস
ফাইল ছবি

‘এখানেই (পল্টন) সভা হবে। একজন লোক দিয়ে হলেও হবে। আর আমরা এখানেই বক্তব্য দেব।’—এ কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তবে তিনি এ–ও বলেছেন, ‘সরকারের যদি ভালো, ভিন্ন কোনো প্রস্তাব থাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া, আমাদের বলতে পারেন।’

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের প্রচারণার জন্য দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রচারপত্র বিলি কার্যক্রম শুরু করা হয়।

১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলছেন, ‘আশা করি যেখানে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেখানেই তারা (বিএনপি) সমাবেশ করবে। এখনো সময় আছে, অপেক্ষা করি।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিকল্পের কথা যদি তিনি বলে থাকেন, ভালো। তবে এই বিকল্প কখনো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হতে পারে না।’

সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা হবে জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সরকার যদি কোনো ঝামেলা না করে, আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ঝামেলা করার সম্ভাবনা নেই। আমরা ঢাকার বাইরে অনুষ্ঠিত নয়টি সমাবেশে তা প্রমাণ করে দিয়েছি। সরকার বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করার পরও আমরা সেসব জায়গায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছি।’

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দয়া করে মামলা বন্ধ করুন, মারামারি বন্ধ করুন, সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করুন, গ্রেপ্তার বন্ধ করুন। ইতিহাস সৃষ্টি করবেন না। আপনারা একের পর এক ইতিহাস সৃষ্টি করছেন। একবার ১৯৭৪ সালে রক্ষীবাহিনী দিয়ে করেছেন। এখন কোন বাহিনী দিয়ে করাচ্ছে আমি জানি না।’

আরও পড়ুন

নয়াপল্টন থাকবে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে

সরকার একটা ভয়ের ভেতর আছে মন্তব্য করে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘এই বুঝি দল ক্ষমতা থেকে পড়ে গেল। আমরা কাউকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য এখন সমাবেশ করছি না। তবে আমরা সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেব, আমরা পরবর্তীকালে কী করব।’ তিনি বলেন, ‘সরকার আশঙ্কা করছে, অনেকের মাধ্যমে আমাদের জিজ্ঞেস করছে, আপনারা কি বসে যাবেন? আমরা বসে যাব, আমরা কখনো বলি নাই। আমরা আমাদের সমাবেশের আবেদনপত্রে পরিষ্কার উল্লেখ করেছি, ১২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত আমরা সমাবেশ করব। যা এই জায়গায় এই পল্টনে প্রায়ই করে থাকি।’

আরও পড়ুন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি ‘ফাঁদ’ মনে করছে বিএনপি

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সমাবেশ কেন্দ্র করে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের বাধা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা শুনেছি যে তারা শারীরিকভাবেও বিভিন্ন স্থানে আমাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্নভাবে। অর্থাৎ সেসব এলাকা থেকে আমাদের নেতা-কর্মীরা সমাবেশে আসবেন, ঢাকায় ঢোকার যে প্রবেশপথগুলো রয়েছে, সেসব জায়গায়।’

আরও পড়ুন

অঘটনের আশঙ্কায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে অনিরাপদ ভাবছে বিএনপি

এর পরে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি সমাবেশের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন। তখন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ সঙ্গে ছিলেন। এ সময় পুরানা পল্টন ও নয়াপল্টন এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানে এবং পথচারীর মধ্যে সমাবেশের প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়। নেতা-কর্মীরা সড়ক দিয়ে চলাচলকারী বাস থামিয়ে যাত্রীদের মধ্যেও পচারপত্র বিলি করেন। এর আগে বিএনপির নেতা-কর্মীরা স্লোগান দেন, ‘১০ তারিখ শনিবার, যুদ্ধ হবে আরেকবার।’

১০ ডিসেম্বর (শনিবার) বিএনপি ঢাকায় গণসমাবেশ করবে। বিএনপির পক্ষ থেকে নয়াপল্টনে অনুমতি চাওয়া হলেও অনুমতি দেওয়া হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার।

আরও পড়ুন

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ: বিএনপিকে ২৬ শর্তের রহস্য কী