২০১৮ সালের নির্বাচনের পর ভারতের সমর্থন পাওয়ার উদ্দেশ্যে সরকার দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করেছে বলে অভিযোগ করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কর্তৃত্ববাদী সরকার সামনের নির্বাচনেও জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কিন্তু সে সুযোগ তাদের আর জনগণ দেবে না। আমরা জনগণের ভোটাধিকার ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলন করছি। এই লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করব। সবাইকে সেই লড়াইয়ে আরও ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাই।’
সমাবেশে সূচনা বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহর এখন বিস্ফোরণের নগরীতে পরিণত হয়েছে। ৭ মার্চ সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২৩ জন মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। কিন্তু সরকার এ ক্ষেত্রে নির্বিকার।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখ্তার, মনির উদ্দীন, ঢাকা উত্তর গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা, ঢাকা দক্ষিণ গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক আলিফ দেওয়ান প্রমুখ।
এর আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা হয়। এর পরপরই সংগঠনের সম্প্রতি প্রয়াত ব্যক্তিদের জন্য শোক প্রস্তাব উত্থাপন এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।