বিদেশি প্রতিনিধিরা কোথাও সরকারের পদত্যাগের কথা বলেননি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি প্রতিনিধিরা কোথাও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের কথা বলেননি।
আজ শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন ক্যাম্পাসে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় সমাপ্ত কম্পিউটার সায়েন্স-ব্রিজ প্রোগ্রামের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আশা করেছিল, বিদেশি প্রতিনিধিরা এসে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের কথা বলবেন, এটা কেউ বলেননি। কারও সঙ্গে কোনো আলাপে এসব প্রসঙ্গই আসেনি। বিএনপির এক দফা হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকার গঠন। এটি বাংলাদেশে যেমন হালে পানি পায়নি, বিদেশিদেরও কারও সমর্থনও পায়নি।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশি প্রতিনিধিদের আলোচনায় শুধু একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা এসেছে। এমনকি সবার অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, সেই কথাটাও আসেনি। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, সবাইকে নিয়েই আমরা নির্বাচন করতে চাই।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুয়ায়ী। সে অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সরকার সংলাপের উদ্যোগ নেবে কি না, এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সংলাপ নিশ্চয়ই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হতে পারে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যদি কোনো কথাবার্তা বলতে হয়, সেটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বলতে হবে। কোনো দল চাইলে নির্বাচন কমিশনের কাছে যেতে ও তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারে। নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে, আমরাও যাব।’
এর আগে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন শিক্ষার্থীদের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য বেসরকারি ইউনিভার্সিটির সঙ্গে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর কিছুটা তফাৎ রয়েছে। কারণ, এখানে অনেক দেশের শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে এবং এর ফলে এখানে বৈচিত্র্য রয়েছে। এখানে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ আরও অনেক দেশের শিক্ষার্থীরা পড়তে আসেন এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের সর্ম্পূণ নিখরচায় পড়তে বৃত্তি দেওয়া হয়।