সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

আওয়ামী লীগ সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকেলে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সরকারের পদত্যাগ ও রাষ্ট্রের সংস্কার’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা রাজধানীর শান্তিনগরের একটি হোটেল অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিতে দুর্যোগময় সময় বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ অতীতে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের সব রাজনৈতিক দল এক হয়ে গেছে। গত ২৮ জুলাই বিএনপির মহাসমাবেশের মাধ্যমে দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। দেশের সব মানুষের দাবি এখন সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া।

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। অথচ সরকার ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে গুরুত্ব না দিয়ে মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করছে।

স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম দলের রাজনৈতিক পর্যালোচনা ও প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি সংবিধান, জাতীয় সংসদ, স্থানীয় সরকার, নির্বাচনী ব্যবস্থা, আইন, বিচার ও প্রশাসন, মৌলিক অধিকার, অর্থনীতিসহ সাতটি বিষয়ে আইন সংস্কারের দাবি তোলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও তাঁর বক্তব্যে বলেন, রাষ্ট্রের সংস্কার প্রয়োজন। বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা দিয়েছে।

সভায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ২০১৮ সালে ভোট ডাকাতি হয়েছে। দেশে এক ব্যক্তির শাসন চলছে। দেশে ডেঙ্গুতে চিকিৎসকেরা মারা যাচ্ছে। শিক্ষকেরা আন্দোলন করছে। কিন্তু সরকার ক্ষমতা ছাড়া কিছু বুঝছে না।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা দিয়েছে। তবে সবার আগে এখন এক দফা হলো এই সরকারের পদত্যাগ।

এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করানো ছাড়া উপায় নেই বলে মন্তব্য করেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রতি ঘণ্টা, প্রতিদিন এখন সতর্কতার সঙ্গে আন্দোলন করতে হবে।

দেশ গণঅভ্যূত্থানের সামনে বলে উল্লেখ করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ইস্যুকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলকে রাজপথে থাকতে হবে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম প্রমুখ।