ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ

ডাকসু নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে রাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন একদল শিক্ষার্থী। ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। তাঁদের অনেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বৃহস্পতিবার রাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

এ সময় ‘ভিসি স্যার জানেন নাকি, নীলক্ষেতের নায়ক আপনি’, ‘নীলক্ষেত না ডাকসু, নীলক্ষেত-নীলক্ষেত’, ‘ভিসি না নীলক্ষেত, নীলক্ষেত-নীলক্ষেত’ স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা জানান, কারচুপির বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব অভিযোগ একপ্রকার অগ্রাহ্য করেছে। প্রতিটি অভিযোগেরই কোনো না কোনো ভিত্তি আছে। অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে সব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত চান তাঁরা।

অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এম এ মহমিতুর রহমান বলেন, ‘আমরা দেখেছি আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন এবং স্বতন্ত্র অনেক প্রার্থী ডাকসু নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলেছিল, আমরা জানতে চাই ব্যালটগুলো কোথায় ছাপানো হয়েছিল। একই সঙ্গে যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের ভোটার লিস্টও (তালিকা) আমরা জানতে চাই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছিল, নীলক্ষেতে জ্যান্ত মানুষ বানানো সম্ভব হলেও সেখান থেকে ব্যালট পেপার ছাপানো হয়নি। এটি অত্যন্ত গোপনীয় বিষয় বিধায় আমরা তা প্রকাশ করতে পারছি না।’

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘আমরা আজ একটি প্রতিবেদন দেখলাম। সেখানে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভোট হয়েছে, সেই ব্যালটগুলো সম্পূর্ণভাবে নীলক্ষেত থেকেই ছাপানো হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার গোপনীয়তার নিয়ম দেখিয়ে ব্যালট কোথায় ছাপা হয়েছে তা বলছে না। আমরা মনে করি, প্রশাসন সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে একটি ইঞ্জিনিয়ার্ড ইলেকশন (কারচুপির) আয়োজন করেছে এবং সেটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’

এ সময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে সব অভিযোগের একটি সুষ্ঠু তদন্ত হোক। সেই তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি এগিয়ে নেব।

৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে বড় জয় পায় ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। এই প্যানেলের প্রার্থীরা ভিপি (সহসভাপতি), জিএস (সাধারণ সম্পাদক), এজিএসসহ (সহসাধারণ সম্পাদক) ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জিতেছেন।

আরও পড়ুন