বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য-ভিসা বন্ধ রাখলে ভারতে দুর্ভিক্ষ হবে: গয়েশ্বর
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও ভিসা বন্ধ রাখলে ভারতে দুর্ভিক্ষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যঘাটতি ৯০ শতাংশ। আমরা শুধু ইলিশ মাছ পাঠাই, তারা সবকিছুই পাঠায়। সুতরাং ভিসা ও এলসি—সব যদি বন্ধ থাকে, তাহলে ভারতের দুর্ভিক্ষ ঠেকানো সম্ভব হবে না। ’
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর এ কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম নামের একটি সংগঠন এ আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কোনো প্রভুত্ব নয়। ছোট-বড় দেশ বলে কোনো কথা নেই। প্রতিটা দেশই কারও না কারও ওপর নির্ভরশীল। আমেরিকা এত বড় একটা দেশ, তাদের অস্ত্র বানানো ছাড়া কোনো কারখানা নেই। কিন্তু তাদের পোশাকের জন্য বাংলাদেশ, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশের ওপর নির্ভর করতে হয়। সুতরাং ভারত যা করছে, তারা নিজেদের পায়ে নিজেরা কুড়াল মারছে।’
ভারত বাংলাদেশের মানুষের মনোভাব না বুঝলে দুই দেশের সম্পর্ক মুখোমুখি অবস্থানে চলে যাবে বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, আজ তারা (ভারত) নেপালের সঙ্গে বন্ধুত্ব হারিয়েছে, মালদ্বীপের সঙ্গেও হারিয়েছে—এমনকি ভুটানের সঙ্গেও। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক আগেই হারিয়েছে, এখন বাংলাদেশের সঙ্গে। তাদের ভাবতে হবে, দক্ষিণ এশিয়ার সব কটি দেশের সঙ্গে সম্পর্কে হারিয়ে তারা কীভাবে চলবে।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর রায় বলেন, সংস্কারের কোনো শেষ নেই। কিন্তু আসল কথা কেউ বলছেন না; অর্থাৎ নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কথা কেউ বলেন না। সব সময় সব দেশের রাজনৈতিক সমস্যার রাজনীতিবিদেরাই সমাধান করেন। যাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হয়েছেন, তাঁরা যদি মনে করেন তাঁরাই সব, তাহলে কীভাবে হবে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের অপপ্রচারে বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান গয়েশ্বর।
মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।