বিরোধিতার মধ্যেই ইভিএমে ভোট দিলেন বিএনপি নেতা আসাদুল হাবিব
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে দলীয়ভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। দলটি শুরু থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিরোধিতা করে আসছে। ইভিএম নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপেও অংশ নেয়নি বিএনপি।
এরই মধ্যে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে ইভিএমে ভোট দিয়েছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব (দুলু)। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাঠানপাড়া আবু তাহের নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে তিনি নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুস সামাদ আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা ১টার মধ্যে তিনি কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে তাঁর (প্রিসাইডিং কর্মকর্তা) সঙ্গে ইভিএম মেশিন নিয়ে কথা বলেন। পরে কেন্দ্রের ২ নম্বর বুথে (পুরুষ) ইভিএমে ভোট দিয়ে চলে যান। সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজাদুল হেলাল বলেন, একজন ভোটার হিসেবে নাগরিক দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে আসাদুল হাবিব ইভিএমে ভোট দিয়েছেন।
বড়বাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চলতি বছরের ১১ আগস্ট মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর ওই ইউপির চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সে হিসেবে আজ ওই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রয়াত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের ছেলে সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজমুল হুদা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস এম আশরাফুল হক।
নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকে ৮ হাজার ৯৪১ ভোট পেয়ে নাজমুল হুদা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম আশরাফুল হক পেয়েছেন ২ হাজার ৭০৬ ভোট। নাজমুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, বড়বাড়ি ইউনিয়নের কিংবিদ্যাবাগিশ গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব। তিনি ১ নম্বর ওয়ার্ডের পাঠানপাড়া আবু তাহের নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে দুপুরে ইভিএমে ভোট দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম মোমিনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় হয়তো দিয়েছেন। যেহেতু স্থানীয় নির্বাচন, তাই ভোটার হিসেবে ভোট দিয়েছেন। এ নিয়ে তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে কথা বলতে সন্ধ্যায় বিএনপির নেতা আসাদুল হাবিবের মুঠোফোনে পাঁচবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। বিষয়বস্তু জানিয়ে খুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া মেলেনি।