সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী সমিতিও সরকারের ‘কালো থাবায়’ বিপর্যস্ত: রিজভী

ঢাকার নয়পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভীছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনা নিয়ে মারামারির ঘটনা ও সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘যেখানেই ভোট, সেখানেই আওয়ামী ভোট ডাকাত, সেখানেই সন্ত্রাস। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সমিতিও তাদের কালো থাবায় বিপর্যস্ত।’

আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার নয়পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। এ সময় তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান, ফলাফল বাতিল করে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা এবং গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি–সমর্থিত আইনজীবীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশের মানুষ সুপ্রিম কোর্টেও  লন্ডভন্ড নির্বাচনী ব্যবস্থা ও পেশিশক্তির উন্মত্ততার হিংস্র প্রতিফলন দেখল। ক্ষমতা দখলে রাখতে আওয়ামী লীগ যেসব কূটকৌশল অবলম্বন করেছে, এর সবকিছুই তারা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে প্রয়োগ করেছে।’

রিজভীর দাবি, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে যুবলীগের দ্বন্দ্ব, হাঙ্গামা, সংঘর্ষ, অস্ত্রের মুখে যুবলীগের চেয়ারম্যানের স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদ সুলতানা (যুথিকে) সম্পাদক পদে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। পরে আবার মেয়র তাপসের প্রার্থীকে সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণার মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ আইনাঙ্গনের আইনজীবীদের মর্যাদা ধুলোয় লুটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা হিংসা-প্রতিহিংসার পথে দেশের রাজনীতিকে উপসংহারহীন পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ভোট জালিয়াতি ও নিজেদের অপকর্মের ঘটনা থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজলকে সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত মিথ্যা সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ফলাফল গণনা নাটকের নামে জালিয়াতি করে রুহুল কুদ্দুসকে হারিয়ে শাহ মঞ্জুরুল হককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

রিজভী উল্লেখ করেন, রুহুল কুদ্দুসকে যে মামলায় আটক করা হয়েছে, সেই মামলায় ১ নম্বর আসামি যুবলীগের চেয়ারম্যানের স্ত্রী নাহিদ সুলতানাকে গ্রেপ্তার তো দূরের কথা, তার নাম নিতেও ভয় পাচ্ছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বলেছে, নাহিদ সুলতানাকে নাকি খুঁজে পাচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অথচ মামলার পর সেই রাতেই বিএনপি নেতা ওসমান চৌধুরীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে রুহুল কবির রিজভী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন এবং দ্রুত ওই নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণার দাবি জানান। এ ছাড়া রুহুল কুদ্দুস ও ওসমান চৌধুরীসহ গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি–সমর্থিত আইনজীবীদের নিঃশর্ত মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রিমান্ড বাতিলের জোর আহ্বান জানান।