ড. ইউনূস কি আইনের ঊর্ধ্বে, শাস্তি কি সরকার দিয়েছে: প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
ড. ইউনূস আইন–আদালতের ঊর্ধ্বে কি না, সেই প্রশ্ন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ প্রশ্ন করেন তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলার রায় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনার স্ট্যাটাস, পজিশন, ব্যক্তিত্বের উচ্চতা কি আইনের ঊর্ধ্বে? ড. ইউনূস সাহেব কি আইন-আদালতের ঊর্ধ্বে? শাস্তি কি তাঁকে আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে? যে শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন, তাঁদের মামলা, সেই মামলায় আদালত তাঁকে শাস্তি দিয়েছেন। এখানে সরকারের কী করণীয়। সরকার কেন এখানে সমালোচনার মুখে পড়বে? এটা তো যথাযথ নয়।’
বিএনপির কর্মসূচিকে রহস্যময় বলেছেন ওবায়দুল কাদের। এখন লিফলেট বিতরণের নামে বাইরে নীরবতা দেখানো হলেও তারা হঠাৎ সশস্ত্র তৎপরতার মাধ্যমে সরব হয়ে উঠবে, এ রকম খবর পাচ্ছেন, বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ‘আমরা অবাক হচ্ছি যে তারা (বিএনপি) লিফলেট বিতরণ করতে যাচ্ছে ৪ তারিখ পর্যন্ত। পাশাপাশি কিছু কিছু খারাপ তথ্যও পাচ্ছি, হঠাৎ তারা গুপ্তহত্যা, চোরাগোপ্তা হামলা—ভয়ংকরভাবে এসবের প্রতি ঝুঁকে পড়তে পারে এবং সে জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
আগামীবার আওয়ামী লীগ আরও শক্তভাবে, সুশৃঙ্খলভাবে দেশ পরিচালনা করবে, বলেন আওয়ামী লীগের নেতা ওবায়দুল কাদের। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন নীরবতার মধ্যে রয়েছে। তাদের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিরীহ। এটাকে আন্দোলন বলবেন?’
অগ্নিসন্ত্রাস, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থাকলেও স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশা করেন ওবায়দুল কাদের। নির্বাচন থেকে পিছিয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই, বলেন তিনি। বিএনপিকে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে বলেও মন্তব্য করেন।
নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ অবিচল ও অটল, বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে নির্বাচন, নির্বাচনী কর্মকাণ্ড সমাপ্ত করতে নির্বাচন কমিশনকে তাদের ভূমিকা পালনে যেকোনো সহযোগিতা করতে আওয়ামী লীগ বদ্ধপরিকর।’
বিএনপির নির্বাচন বর্জনের কর্মকাণ্ড ঠেকাতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত কি না—এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি আগের চেয়েও বেশি। সবকিছু আমরা সময়মতো সম্পন্ন করতে চাই। আমরা অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং জনগণের অংশগ্রহণের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আমাদের প্রস্তুতি সন্তোষজনক।’
শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকা নিয়ে এ মুহূর্তে বলতে পারছি না—জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো টানাপোড়েন নেই। আমাদের সঙ্গে তাদের খুব ভালোভাবে আলোচনা হয়েছে। আমার মনে হয় না, তারা দলগতভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে।’
সরকার গঠনের মতো আসনের ধারেকাছে জাতীয় পার্টি নেই বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সরকার গঠনের অনেক ওপরে তারা প্রার্থী দিয়েছে। কোন কোন প্রার্থী কোন অসুবিধার জন্য করতে পারছেন না, সেটা তাঁদের ব্যাপার। নির্বাচনে কোনো সমস্যা নেই।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।