বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক, বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখার প্রত্যাশা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, তাঁরা মনে করেন, সারা বিশ্বই এ ধরনের নির্বাচন প্রত্যাশা করে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আজ বুধবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে গিয়ে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে ইইউর প্রতিনিধিদল। ওই বৈঠক শেষে চার্লস হোয়াইটলি জানান, বৈঠকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে তিনি বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নও নেননি।
বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আগের মতো স্পষ্ট করে বলেছি, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য যাতে হয়, সেটা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা তাদের (ইইউ) জানিয়েছি, আমাদের নির্বাচন কমিশনাররা দুই সপ্তাহ ধরে বাইরে বাইরে ঘুরেছেন। তাঁরা প্রশাসন, জনগণকে এ বিষয়গুলো অবহিত করছেন, যাতে প্রশাসন স্থানীয়ভাবে তাদের সব শক্তিকে সমন্বিত করে; যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনটা নিশ্চিত হয়।’
সিইসি বলেন, ‘যত দূর বুঝেছি, তাঁরা আমাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়েছেন। আমরা আমাদের যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা; একটা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে আমরা আইনত ও সাংবিধানিকভাবে বাধ্য, সেটা খুব স্পষ্ট করে তাঁদের বুঝিয়েছি, আগেও বুঝিয়েছি। আমার বিশ্বাস, আমাদের এ সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা এটা তাঁরা বুঝতে পেরেছেন।’ সিইসি আরও বলেন, রাজনৈতিক বিষয়ে ইসি বলেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে যদি কোনো মতবিরোধ, বিভেদ, বিভাজন থাকে, সেখানে কোনোভাবেই ইসি হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’
ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে সুইডেন, স্পেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, ফ্রান্স ও জার্মানির মিশনপ্রধানসহ ১০ জন উপস্থিত ছিলেন। সিইসি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বৈঠকে অংশ নেন।