আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আস্থাপূর্ণ হওয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি দেশ ও জনগণের স্বার্থে প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা এ ব্যর্থতা আড়াল করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত।

আরও পড়ুন

ভারত থেকে কী এনেছেন, কিছুই না: মির্জা ফখরুল

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় থাকতে ভারতে গিয়েছিলেন’—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিদেশি কোনো রাষ্ট্র বা সংস্থা কাউকে ক্ষমতায় বসাবে, এমন উদ্ভট কথা আপনারা বিশ্বাস করলেও আমরা করি না।’

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষমতায় কে থাকবে, সেটা নির্ভর করে দেশের জনগণকে ওপর। জনগণই আমাদের আস্থার ঠিকানা, ক্ষমতার উৎস।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতার জন্য বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয় না। বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে, কোনো প্রভু নেই।

আরও পড়ুন

প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে স্মরণে রাখার মতো কিছুই আনতে পারেননি: খন্দকার মোশাররফ

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে। জনকল্যাণই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য। জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের ওপর খুশি। সে কারণেই জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। জনগণের ওপর আওয়ামী লীগের আস্থা শতভাগ। জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সঙ্গে ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।

আরও পড়ুন

বিএনপির সমালোচনা অহেতুক, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ: তথ্যমন্ত্রী

‘ভারত আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর খুশি নয়’—বিএনপির মহাসচিবের এ বক্তব্যের জবাব দেন ওবায়দুল কাদের। মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য কি তিনি (ফখরুল) শুনেছেন? ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত। একাত্তরের চেতনায় বিশ্বাসীদের সঙ্গে থাকবে ভারত।’

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এ বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব কী বুঝলেন? ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দুঃসময়ের, ভারত আমাদের দুঃসময়ের পরীক্ষিত বন্ধু।’