জি এম কাদের
ফাইল ছবি

দেশ এক সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের।

জি এম কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক উত্তেজনায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা আছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যে অবস্থানে আছে, সেখান থেকে তাদের আর ফিরে আসার সুযোগ নেই।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটি নামের এক সংগঠনের সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় জি এম কাদের এ কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, পরিস্থিতি এমন—আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যে দল পরাজিত হবে, সেই দলের যেন মৃত্যু হবে। এই বাস্তবতায় একটা বড় ধরনের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতেই রাজনীতি করছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই যেন ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা থাকে। লজ্জার বিষয় হচ্ছে, এত দিনেও আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে পারিনি। ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় এমন অবস্থা তৈরি হয়, যেন ক্ষমতা হস্তান্তরের পরই বড় ধরনের বিপদে পড়তে হবে। তাই স্বাভাবিকভাবেই কেউ ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চায় না।’

ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় একটি অনিশ্চিত ও সাংঘর্ষিক পরিবেশ সৃষ্টি হয় উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা এমন পরিস্থিতি চাই না। ইভিএমে নির্বাচন আমরা চাই না। কারণ, ইভিএমে নির্বাচনে কারচুপির সুযোগ আছে। আমরা মনে করি, যাঁরা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত, তাঁরা দলীয়করণের মধ্যেই আছেন। আমরা মনে করি, ইভিএমের মাধ্যমে ভোটের ফলাফল বদলে দেওয়া যায়।’

জি এম কাদের আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা এখন রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছেন। আবার মাদকের ব্যবসাই সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। তাই দেখা যায়, ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালীরাই মাদক বিস্তারে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। এ কারণেই দেশে মাদকের বিস্তার কমছে না। এখন চা ও মুদিদোকানেও মাদক পাওয়া যায়।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাপার কো–চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর, জহিরুল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান আমির উদ্দিন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি সেলিম নিজামী।