নভেম্বরের মধ্যে সরকারের ঘুম হারাম হয়ে যাবে: গণতন্ত্র মঞ্চ
ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচিতে নভেম্বরের মধ্যে সরকারের ঘুম হারাম হয়ে যাবে বলে দাবি করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাঁরা বলেন, সরকারকে এবার আর নির্বাচনের খেলা খেলতে দেওয়া হবে না। আন্দোলনের ফাইনাল খেলার জন্য জনগণ এবার প্রস্তুত।
আজ শুক্রবার রাজধানীর পল্টন মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল পল্টন মোড়ের আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান (মান্না)। তিনি বলেন, আজ, কাল বা পরশু এই সরকারকে যেতেই হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে সেলফি তুলেই তাঁদের জীবন ধন্য হয়ে গেছে। দেশের মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী সেলফি তুলে খুশি।
সরকার পদত্যাগ করলেই নির্বাচনের ৮০ শতাংশ পরিবেশ তৈরি হয়ে যাবে বলে মনে করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, নির্বাচনের বাকি ২০ শতাংশ পরিবেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তৈরি করবে। সরকার পতনে লড়াই-আন্দোলন চলছে। সেমিফাইনাল খেলা, মহড়া শেষ। ফাইনাল খেলার জন্য প্রস্তুত। ধারাবাহিক আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
প্রশাসন এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে বলে দাবি করেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, আমলাদের পরিবার, ব্যাংক-ব্যালান্স, বাড়িঘর সবই বিদেশে। সচিব-ডিসিরা এখন যেকোনো মূল্যে আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে হুংকার দিচ্ছেন। প্রশাসনের কেউ যেন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির আয়োজন থেকে সরে না যায়, সে জন্য ভয় দেখাচ্ছেন।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, স্বীকৃত পাচারকারীরা সরকার, সংসদ, আইন, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে চোখের সামনে হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। আদালত এই অর্থ পাচারের তদন্ত স্থগিত রাখে। এবার এই সরকারকে নামতেই হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান প্রমুখ।