বিএনপির আরও ২৫ জনের কারাদণ্ড

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

আরও পৃথক চারটি মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ২৫ জন নেতা–কর্মীর সাজা হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত গতকাল রোববার এই রায় দেন। যে চারটি মামলায় সাজা হয়েছে, সেগুলো দায়ের করা হয় ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা কেউই আদালতে হাজির ছিলেন না। আদালত তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

এ নিয়ে গত তিন মাসের বেশি সময়ে ৪৫টি মামলায় বিএনপির ৭৩৮ জন নেতা–কর্মীর সাজা হলো।

২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল রমনা থানায় দায়ের করা পুলিশের মামলায় পাঁচজন নেতা–কর্মীকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সিএমএম আদালতের এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন গতকাল এই রায় দেন। রায়ে তিন আসামি খালাস পেয়েছেন। মামলায় পুলিশ বলেছে, ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম, জামায়াত–শিবির, বিএনপি জোটের নেতা–কর্মীরা মতিঝিলের শাপলা চত্বরের লংমার্চের কর্মসূচি শেষে কদম ফোয়ারা থেকে মৎস্য ভবন মোড়ের দিকে আসতে থাকেন। পুলিশ সদস্যরা মিছিলকারীদের শাহবাগের পরিবর্তে কাকরাইল মসজিদের দিকে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তবে মিছিলকারীরা রমনা পার্কের বেষ্টনীর দেয়াল ভাঙচুর করে শাহবাগ চত্বরের দিকে দৌড়াতে থাকেন। তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের কয়েকজনকে লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন। এ মামলায় আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে উল্লেখ থাকা ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ছয়জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে। সাক্ষ্য গ্রহণ প্রথম শুরু হয় ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় গত ৮ অক্টোবর।

এ ছাড়া ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৫ সেপ্টেম্বর পুলিশের করা মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ১১ জন নেতা–কর্মীর প্রত্যেককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এই রায় দেন। মামলার এজাহারে পুলিশ বলেছে, ভাটারা থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) খবর পান যে ভাটারার উত্তর নয়ানগরের আতাউর রহমানের বাসায় বিএনপি ও জামায়াতের লোকেরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে পুলিশ সদস্যরা সেখানে আসার পর আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এ মামলায় বেআইনি সমাবেশের দায়ে দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় প্রত্যেককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া ২০১৩ সালের মার্চ মাসে দায়ের করা মামলায় আরও চারজনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সিএমএম আদালতের এসিএমএম সুলতান সোহাগ উদ্দিন গতকাল এই রায় দেন। এ ছাড়া ২০১২ সালে দায়ের করা মামলায় আরও পাঁচজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।