ইফতারের পর হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে আজ বুধবার ইফতারের পর সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
৩৩ দিন পর আবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে যাচ্ছেন বিএনপি নেত্রী। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জাহিদ হোসেন আজ দুপুরে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে আজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তবে তাঁর স্বাস্থ্যের কিছু জরুরি পরীক্ষাও প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
আজ ইফতারের পর খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাঁর মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বৈঠক করবেন বলে উল্লেখ করেন জাহিদ হোসেন। তিনি জানান, মেডিকেল বোর্ড স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে খালেদা জিয়া আজই বাসায় ফিরবেন নাকি তাঁকে হাসপাতালে থাকতে হবে, এ ব্যাপারে মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি নেত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল।
এর আগে গত বছরের ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাঁচ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কে তাঁর বাসা ফিরোজায় ফেরেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে তাঁর পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি। এমন পরিপ্রেক্ষিতে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত বছরের ২৭ অক্টোবর।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তাঁর স্বাস্থ্য কিছুটা স্থিতিশীল হলে সে দফায় পাঁচ মাসের বেশি সময় পর তাঁকে বাসায় নেওয়া হয়। এখন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন তিনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।