প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সফল হওয়ায় বিএনপির মন খারাপ: তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত সফল ও সন্তোষজনক হয়েছে। উভয় দেশের সরকারের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হলেও এতে মন খারাপ হয়েছে বিএনপির। এ কারণে তাঁরা (বিএনপির নেতা-কর্মী) এখন আবোলতাবোল বকছেন।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে। সফরে অনেকগুলো চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে, ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে বিনা শুল্কে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির সুযোগ। এর জন্য আমরা বহু বছর ধরে চেষ্টা করে এসেছি। এত দিন ভারতের স্থলভাগ ব্যবহারের বিষয়ে যে অনেকটা বাধা ছিল, এর মধ্য দিয়ে সেটা কিন্তু দূর হয়েছে। এখন চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে ভারতের স্থলভাগের ওপর দিয়ে নেপাল ও ভুটানে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে পারবে বাংলাদেশ। এটি একটি বড় অর্জন।’

বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই ভারতের কাছ থেকে সবকিছু আদায় করেছেন বলে দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সালিস আদালতে মামলা করে আমরা ভারতের কাছ থেকে সমুদ্রসীমা আদায় করেছি। চুক্তি হওয়ার ৪০ বছর পরও আমাদের ছিটমহলের যে দাবি আদায় হয়নি, সেটি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। ২০টি ছাড়া বাংলাদেশের সব পণ্য রপ্তানিতে ভারত শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে, যেগুলো অন্য কেউ আদায় করতে পারেনি। আর কুশিয়ারা নদীর পানি নিয়েও আমাদের পক্ষে যে চুক্তি হয়েছে, সেটি একটি বড় অর্জন।’

তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু ভারতের বিধিবিধান অনুযায়ী সেখানে রাজ্য সরকারের একটি অনুমোদন লাগে। রাজ্যের পক্ষ থেকে যেহেতু আপত্তি আছে, সে কারণে এটি এত দিন এগোয়নি। তবে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আশা করছি নিশ্চয়ই শিগগিরই এর সমাধান হবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেন এত ভালো সফর হলো, সে জন্য বিএনপির মির্জা ফখরুল সাহেবদের মন খুবই খারাপ। তাঁদের কাজ তো বিভ্রান্তি ছড়ানো। তাঁরা এ নিয়ে ব্যস্ত আছেন। অথচ ভারতে গিয়ে খালেদা জিয়া গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলেন, যা তিনি নিজেই বলেন। সেই ভিডিও ফুটেজ এখনো আমার কাছে আছে, আপনাদের কাছেও আছে। যে দলের নেত্রী ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের পানি হিস্যার কথা ভুলে যান, তাঁরা আবার এগুলো নিয়ে কথা বলেন কোন মুখে।’

এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যান উপকমিটি আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন হাছান মাহমুদ। প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও উদ্যান উপকমিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রতন, রহমান মুস্তাফিজ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।