সরকারের পচন ধরেছে, এভাবে চললে আ. লীগ যা করেছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হবে: মির্জা আব্বাস

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তারুণ্যের সমাবেশে বক্তব্যে এ কথা বলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসছবি: তানভীর আহাম্মেদ

এই সরকারের (অন্তর্বর্তী সরকার) মাথা থেকে পচন ধরেছে, নিচ পর্যন্ত পচে গেছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এই সরকার যদি এভাবে চালায় আরও, আওয়ামী লীগ যা ক্ষতি করেছে, তার চাইতে অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে।

সে কারণ নির্বাচন অবশ্যই দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘যে কোনো দল আসুক, নির্বাচিত সরকারের হাতে এই দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা নিরাপদ থাকবে বলে বিশ্বাস করি।’

এই সরকার গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা ও আস্থার সরকার ছিল উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কিন্তু নয় মাসের কার্যক্রমে এই সরকার থেকে কিছুই পাইনি। শুধু পেয়েছি অবজ্ঞা।’

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির তিন সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে’ বক্তব্যে এ কথা বলেন মির্জা আব্বাস।

মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে কথা হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এ নিয়ে লাভ-লোকসান দেখার দরকার নাই। আমরা যেমন ছিলাম, তেমন থাকতে চাই।’

এই সরকার একটি উপনিবেশিক সরকার বলে মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, সরকারে যাঁরা আছেন, তাঁদের বেশির ভাগই দেশের নাগরিক নন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস
ফাইল ছবি

দেশে ব্যাপক চাঁদাবাজি হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, এর দোষ বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ এসব চাঁদাবাজদের কেন ধরছে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

নির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ থাকবে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সরকার বলছে সংস্কার করে নির্বাচন দেবে। কিন্তু গত নয় মাসে সরকার কিছুই করতে পারেনি। তারা আগামী নয় বছরেও কিছু করতে পারবে না।’

আরও পড়ুন

সরকারকে ব্যর্থতার দায় নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিজ উদ্যোগে একটা ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

এই সমাবেশ থেকে অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও আমীর খসরু মাহমুদ ছাড়া অন্য নেতারাও এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।

আরও পড়ুন