গোপন বুথে প্রবেশ, সিসিটিভিতে দেখার পর ইসির নির্দেশে আটক দুজন

ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে বসে সিসিটিভি ক্যামেরাতে নির্বাচন কমিশনাররা ভোট পর্যবেক্ষণ করছেন
ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুর সিটির নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় গোপন বুথে প্রবেশের দায়ে দুজনকে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সিসিটিভি ক্যামেরাতে ভোট দেখার পর এই অনিয়ম চোখে পড়ে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের। তাঁরা বিষয়টি দেখার পর দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর একজনকে আটক এবং অন্যজনকে তিন দিনের জেল দেওয়া হয়েছে।

আজ সকাল ৮টা থেকে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আজকের ভোটে ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। প্রার্থীরাও ভোটের পরিবেশ নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন।

আর ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে বসে সিসিটিভি ক্যামেরাতে নির্বাচন কমিশনাররা ভোট গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছেন। এ সময় দুটি ভোটকেন্দ্রে এ দুজনকে অবৈধভাবে গোপন বুথে অনুপ্রবেশ করতে দেখে তাঁদের আটকের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। গাজীপুরের বাসনের ১০১ নম্বর সোনারবান মেমোরিয়াল হাইস্কুল কেন্দ্র থেকে রিয়াদুল ইসলাম রিয়াজ এবং গাজীপুর সিটির বি ব্লকের ১০৩ নম্বর উম্মুল কুরা হিফজ মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে মো. আবু তাহেরকে আটকের নির্দেশ দেওয়া হয়।

গাজীপুর সিটির নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেছেন, আটক ব্যক্তিদের একজনকে বিকেলে ছেড়ে দেওয়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর অপরজনের তিন দিনের জেল দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এ সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।

নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা হলেন—নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।