কোনো না কোনো এক দিন আমি স্মার্ট নেতৃত্ব দিতে পারব, বললেন নুসরাত ফারিয়া
চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া বলেছেন, ‘জননেত্রী যেহেতু বলেই দিয়েছেন স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট নেতৃত্ব হবে। যেহেতু সবাই বলে আমি স্মার্ট নায়িকা। তাহলে আমি ভাবছি, কোনো না কোনো এক দিন আমি স্মার্ট নেতৃত্ব দিতে পারব।’
আজ বুধবার দুপুরে গণভবন থেকে বেরিয়ে এসব কথা বলেন নুসরাত ফারিয়া।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের জন্য সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী চূড়ান্তের লক্ষ্যে গণভবনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের একজন মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে নুসরাত ফারিয়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, আজ সকাল ১০টায় গণভবনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে। সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিয়েছেন।
এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ১ হাজার ৫৪৯ জন। সংসদে আওয়ামী লীগের আসন এবার ৪৮টি।
গণভবন থেকে বেরিয়ে নুসরাত ফারিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, আমি সর্বকনিষ্ঠ ছিলাম। “মুজিব একটি জাতির রূপকার” সিনেমা করার পরে আমার একটা ফিলিং হয়েছে, আমি রাজনীতি করতে চাই। এটা আমার প্রথম ধাপ ছিল। সে জন্যই এখানে আসা। এটা একটা অন্য ধরনের অভিজ্ঞতা। এটা আসলেই ভেতরে না বসে, অভিজ্ঞতা না নিলে কখনোই বোঝা যেত না। পুরো জিনিসটা আসলে কত বড়।’
নুসরাত ফারিয়া আরও বলেন, ‘আজকে উনি (প্রধানমন্ত্রী) কথা বলেছেন। আমরা শুনেছি। আজকে শুধু তাঁকে শুনেছি। শুনেই খুব ভালো লেগেছে।’
নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করছেন, সামনে যদি সুযোগ পান, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘সেটা আমার ব্যক্তিগত প্রস্তুতি। সেটা জনগণ দেখবে ইনশা আল্লাহ।’
প্রথম কোন কাজটা করার ইচ্ছা আছে, এমন প্রশ্নে নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্মের রাজনীতিকে নিয়ে হেয় ভাব আছে। অনেকে রাজনীতিতে জড়াতে চায় না। দেশের উন্নতির জন্য এগিয়ে আসতে চায় না, কাজ করতে চায় না। আমি সবাইকে মোটিভেটেড করতে চাই যেকোনো ক্ষেত্র থেকে, যেকোনো ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে তুমি চাইলে দেশের জন্য কাজ করতে পারো।’
একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফাও মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে গণভবনে গিয়েছেন। মনোনয়ন পেলে এবার কী কী প্রতিশ্রুতি থাকবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘দেশের জন্য কাজ করা। মেয়েশিশুদের জন্য কাজ করা। শিক্ষা ক্ষেত্রে কাজ করা। সর্বোপরি, আমাদের কালচারাল, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ আছে। দেখা যাক, আগে তো মনোনয়ন পেতে হবে।’
গণভবন থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির সদস্য নেহরিন মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, তিনি নারীদের যে জায়গায়ই দিয়েছেন, তাঁরা সফলভাবে কাজ করেছেন। নারীদের দিয়ে দেশের অনেক কল্যাণ হয়েছে।
আগামী দিনে তিনি যাঁদের নিয়ে আসবেন, বঙ্গবন্ধুর সময় যেসব পরিবার কাজ করেছে, সময়ের পরিবর্তনে তারা হারিয়ে গেছে, সেসব পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে ফিরিয়ে আনবেন।
ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী সেলিমা বেগম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, আমাদের মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে। বিশেষ করে অসহায় ও হতদরিদ্র নারীদের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য আমাদের নেত্রী যেসব প্রকল্প নিয়েছেন, সেসবের সুষ্ঠু বণ্টন এবং নারী নেতৃত্ব যাতে একেবারে রিমোট এরিয়া থেকে আসে, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শেষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুরু হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কারা হবে, এ সভায় তা চূড়ান্ত হবে।