এখন শুধু চূড়ান্ত বিজয়ের অপেক্ষা: মির্জা ফখরুল

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। ঢাকা, ১৯ অক্টোবর
ছবি: সংগৃহীত

দেশে সব মানুষকে এক করতে পেরেছেন দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন শুধু চূড়ান্ত বিজয়ের অপেক্ষা। শত প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের অনেক সমস্যা আছে। আজকে যারা ক্ষমতাসীন, তারা ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট। আর ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক শক্তির লড়াইটা খুব সহজ নয়। এখানে মৌলিক পার্থক্য হলো অস্ত্রশস্ত্র, রাষ্ট্রক্ষমতা—সবকিছু নিয়ে সে আক্রমণ করে। আর আমরা জনগণকে নিয়ে সেই আক্রমণ প্রতিহতের চেষ্টা করি।’

তারেক রহমানের নেতৃত্বে অনেক দূর এগিয়েছেন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো দেশের সমগ্র মানুষকে এক করতে পেরেছি। দেশের রাজনৈতিক চিন্তার মানুষ (ডান-বাম) সবাইকে আমরা এক করতে পেরেছি। এখন শুধু চূড়ান্ত বিজয়ের অপেক্ষা।’

প্রতিদিনই বিএনপির সমর্থক বাড়ছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগে কর্মসূচি করতে গেলে কর্মীদের বেশি সক্রিয় হতে হতো। এখন কিন্তু সাধারণ মানুষ আগে আসছেন। আমি মনে করি, যেসব নেতা–কর্মী তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের অবদান বৃথা যাবে না। আজকে শুধু দেশে নয়, বাইরের যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তারাও কিন্তু আমাদের (বিএনপি) চাওয়ার ব্যাপারে একমত।’

আয়োজক সংগঠন জেআরএফের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিমের সভাপতিত্বে এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিস প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ২০১৩ সালে গুমের শিকার দারুস সালাম থানা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদের ছোট ছেলে রিমন রাশেদ এবং বংশাল থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পারভেজের ছোট মেয়ে হৃদি, ২০১৮ সালে পুলিশের গুলিতে চোখ হারানো সিরাজগঞ্জ মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেরি বেগম, ২০২২ সালে মুন্সিগঞ্জের মোক্তারপুর ফেরিঘাটে পুলিশের গুলিতে আহত জাহাঙ্গীর মাতবর, ২০২২ সালে গুলিবিদ্ধ হয়ে চোখের কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা মো. আরিফ বিল্লাহ, ২০১৩ সালে গুম হওয়া তেজগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কাউসারের মেয়ে মিমসহ কয়েকজন।