খালেদা জিয়াকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন আজ রোববার প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন।

খালেদা জিয়া ১১ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ৯ আগস্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার পর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। সেগুলোর প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ড তাঁর চিকিৎসা দিচ্ছে।
জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ‘খালেদা জিয়ার নানা শারীরিক জটিলতার কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তবে সেটাকে ভালো বলা যাবে না। এখনো হাসপাতালে তাঁকে আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন বলে চিকিৎসকেরা মনে করছেন। সে কারণে তাঁকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।

তবে খালেদা জিয়াকে এখনো ঠিক কত দিন হাসপাতালে থাকতে হবে, সেটি এ মুহূর্তে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না চিকিৎসকেরা।

এর আগে গত ১৩ জুন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পাঁচ দিন পর তিনি বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে কয়েক দিন আগে খালেদা জিয়া অসুস্থ বোধ করলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা গুলশানের বাসায় গিয়ে তাঁকে দেখে আসেন। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তিনি হাসপাতালে যান।

এর আগে গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্‌রোগে ভুগছেন। তাঁর পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা। ২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দী হন। পরে হাইকোর্টে এ সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়।

এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। সেই থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন। প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে।